সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে মো. হানিফ (২৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় নুরুল ইসলাম (২৭) নামের আরো এক কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাজীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. হানিফ দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে। সে এওজবালিয়া ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে কাজীপাড়া এলাকায় বিএনপির একটি উঠান বৈঠক চলছিল। এসময় হানিফ’সহ কয়েকজন যুবলীগের নেতাকর্মী ওইদিকে গেলে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ধাওয়া করে ও পিছন থেকে গুলি করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হানিফ ও নুরুল ইসলাম পড়ে গেলে তাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম জানান, বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা হানিফ’সহ এজবালিয়া ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে হানিফকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। তিনি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে নোয়াখালী- ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, বিকেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রহিম রিজভীর বাড়ীতে উঠান বৈঠক চলছিল। পরে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে তাতে হামলা চালায়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছুঁড়ে। এবিষয়ে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করি। তবে যুবলীগ নেতা হানিফ কিভাবে নিহত হয়েছে তিনি জানেন না বলে জানান।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম জানান, তার দুই পায়ে গুলি ও মাথা’সহ শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিএনপির বৈঠক থেকে হানিফকে লক্ষ্য করে গুলি করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন