যশোর ব্যুরো
যশোরের বাঘারপাড়ায় দুই ইউনিয়নে পিতা-ছেলে ও আপন দু’ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দু’ভাই গত ইউপি নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। আর পিতা ছেলে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উল্লেখিতরা সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। বাঘারপাড়া উপজেলার ১ নম্বর জহুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান পিএম রেজাউল ইসলাম ওরফে দিলু পাটোয়ারী গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় তার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারীকে। সে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বড়ভাই নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন দিলু। এবারও দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে নামেন দু’ভাই। শেষমেষ বড় ভাইকে টপকিয়ে দিলু পাটোয়ারী আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে পেয়ে যান দলীয় প্রতীক নৌকা। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্রও জমা দেন তিনি। এ ব্যাপারে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের চাপে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচন না করলে কেউ মনোনয়ন জমা দেয়? নির্বাচন করছি এটা ফাইনাল।’ অন্যদিকে ভাই দিলু পাটোয়ারী বলেন, ‘বেশির ভাগ ভোটার রয়েছেন আমার সঙ্গে। আমি কাউকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছি না।’ এদিকে, একই উপজেলার ৯ নম্বর জামদিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে কামরুল ইসলাম টুটুল। টুটুল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র জমাও দেন তিনি। আর পিতা শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দু’দিন আগেই। কামরুল ইসলাম টুটুল দাবি করেন, সাপোর্টিং হিসেবে তার পিতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টুটুল আওয়ামী লীগের জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জামদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজলের ভাই। স্থানীয়ভাবে এ পরিবারের বেশ প্রভাব রয়েছে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন প্রভাষক নিখিল কুমার আঢ্য। আগামী ২৮ মে বাঘারপাড়ায় ৫ম ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন