বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

৫ ফুট প্রস্থের সড়কের ৩ ফুট কাটা চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ-বিড়ম্বনা

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে
বানারীপাড়ায় পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের বাড়িরপাশের সরকারি রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ করায় জনঅসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ৫ ফুট প্রস্থের সরু ওই রাস্তায় সাড়ে তিন ফুট কেটে রাস্তার ওপর ড্রেন নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। আর এটি করা হলে ওই রাস্তায় স্থায়ীভাবে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তার পশ্চিম প্রান্তে সন্ধ্যা নদীর তীরে শিল্প প্রতিষ্ঠান ডক ইয়ার্ড ও বালুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শতাধিক পরিবারের বসবাস রয়েছে। ডক ইয়ার্ড থেকে সরকার প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকার মূসক ও বাৎসরিক আয় কর পেয়ে থাকে। এছাড়া ডক ইয়ার্ড ও বালু ব্যবসা থেকে শতাধিক শ্রমিক জীবিকানির্বাহ করে থাকেন। ড্রেন নির্মাণের ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ডক ইয়ার্ড ও বালুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় অগ্নিকা-ের কোনো ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস বা কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ওই রাস্তায় প্রবেশ করতে পারবে না। ওই ডক ইর্য়াডটি বানারীপাড়ার জাহাজ, কার্গো, বলগেট ও ট্রলার নির্মাণের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। বানারীপাড়ার প্রয়োজনীয় এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি শতাধিক শ্রমিককে বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়া ভবিষ্যতে ওই এলাকায় স্থায়ী বসবাসকারীদের অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনির হোসেন প্রভাব দেখিয়ে নিজের সম্পত্তি রক্ষায় রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছেন। এর ফলে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ওই রাস্তার পশ্চিম প্রান্তের বিশাল সম্পত্তির মালিক সদর ইউনিয়নের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত নূর হোসেন মিয়া ও তার ভাই প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের পরিবার বানারীপাড়া পৌরসভার সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী। অথচ রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণের ফলে তাদের পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন অভিযোগ তাদের। অপরদিকে ২নং ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি খাল ভরাট করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে রাখলেও সেগুলো উদ্ধার কিংবা তার ওপর ড্রেন নির্মাণের কোনই উদ্যোগ নেই। এদিকে রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল আলম সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলের কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পৌরসভার প্যানেল মেয়র এসএম আকবরসহ তিনজন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন