মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

তানোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরের পাচন্দর ইউপির দেউল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও একান-ওকান হয়ে বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়েছে। এলাকার অভিভাবক ও সচেতন মহল অভিযোগের সরেজমিন তদন্তপূর্বক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ কারণে বাদীর পরিবার কোথাও অভিযোগ করার সাহস পায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল দেউল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মোবারক আলী বিদ্যালয় ছুটির পরে পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী এক শিক্ষার্থীকে বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দাগিয়ে দেয়ার কথা বলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর শরীরের স্পকাতর বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষার্থীর পরিবারকে জানান। অভিভাবকগণ বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে অবহিত করে। গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে বসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষক মোবারক। কিন্তু গত ৫ মে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটি থাকায় ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ফের ঘটনা ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দেউল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। এলাকার কিছু বখাটে যুবক তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করেছে, তবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে বাদীর এখন কোনো অভিযোগ নেই সেখানে আপনাদের কেনো এতো মাথাব্যথা, তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করা হলে তিনি ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহাণির মামলা করবেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনি লোকমুখে এমন অভিযোগ শোনেছেন, কিন্তু লিখিত অভিযোগ পাননি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, এলাকা থেকে অনেকেই মুঠোফোনে তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন