নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেশবপুরের সন্ত্রাসীদের দাপট বেড়ে গেছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে অজানা শঙ্কা দানা বেধেছে। শুক্রবার সাকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
উপজেলার ত্রাসখ্যাত হাতুড়ি বাহিনী কিছুদিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে আবার পৌর এলাকার মধ্যকুল থেকে হাতুড়ি বাহিনী তাদের মোহড়া শুরু করে মজিদপুর উইনিয়নের আটণ্ডা-শ্রিফলা গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য শাসিয়েছে বাহিনী প্রধান শরিফুলের নেতৃত্বে অর্ধশত মোটরসাইকেল। রাত্রি সাড়ে নয়টার দিকে কেশবপুর পৌর এলাকার ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের সরদারপাড়ার শীতোনাথের মোড়ে সন্ত্রাসী মাহাবুর এক বিএনপির কর্মীর মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, রাত্রী ৯টার দিকে ভোগতি গ্রামের বিএনপি কর্মী (মাংস ব্যবসায়ী) মো. শাহিন (৩৫) পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সরদার পাড়ার মোড়ে গেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী একই গ্রামের মৃত আকবর সরদারের পুত্র মাহাবুর (৩২) শাহিনের ওপর হামলা করে আহত করে এবং তার ব্যবহৃত হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এর আগে দিনের বেলায় পার্শ্ববর্তী বায়সা গ্রামের মো. শাজাহানের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে। গত রাতেও সে এলাকার বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য শাসিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনকে এলাকাবাসীর পক্ষে অবহিত করলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। অপর দিকে, জুমার পূর্বে শহরের ধোপাপাড়া মোড়ে আ.লীগ কর্মী রাজিব (২৮) প্রতিপক্ষ যুবলীগের আহ্বায়ক পেনেল মেয়র গ্রুপের কর্মীদের হাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত রাজিব পৌরমেয়র রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক। সে উপজেলা মধ্যকুল গ্রামের মিজান খানের পুত্র। আহত রাজিবে পিতা জানান, তিনি এঘটনায় থানায় মামলা করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন