আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুমিল্লা অস্থায়ীভাবে তৈরি করা ক্যাম্প থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল শুরু করেছে সেনা সদস্যরা। টহল শুরু হবার পর থেকে আলোচনা মূখর হয়ে উঠেছে গোটা কুমিল্লা। অফিস- আদালত, হাট বাজার থেকে পাড়ার চায়ের দোকান ঘরের খাবার টেবিল পর্যন্ত আলোচনার প্রধান বিষয়বস্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং কি হবে সেনা সদস্যদের ভূমিকা।
রবিবার বিকেল থেকে নগরীর ধর্মসাগরপাড়স্থ রানীরকুঠিরসহ সকল উপজেলায় একটি করে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ওই ক্যাম্পগুলোর অধীনে আরো কিছু সাব ক্যাম্প করা হয়েছে।
সেনা মোতায়েন বিষয়ে কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, কুমিল্লার সবকটি উপজেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপক্ষভাবে ভোট গ্রহণ করাসহ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন, কোন দল গোষ্ঠী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা কাজ করবেন।
এছাড়া নির্বাচনে সেনা সদস্যদের আর কোন ভূমিকা থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল ফজল মীর জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশন থেকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনীর কি দায়িত্ব পালন করবে তা উল্লেখ রয়েছে। শুধু এটুকু বলতে পারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনা সদস্যরা কাজ করবে। মূলত সেনাবাহিনীর সদস্যরা কুমিল্লার সব উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই মাঠে থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন