আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে
চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকদের মুখের হাসি মলিন হয়ে গেছে। বাজারের ধান দাম কম হওয়ায় এবং হঠাৎ করে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় কাঁচাপাকা, আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ধানের দাম আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় এবারেও কৃষকদের লোকশান গুণতে হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান সাড়ে চারশ’ টাকা হতে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকের মণপ্রতি কমপক্ষে ২শ’ হতে ৩শ’ টাকা লোকশান গুণতে হচ্ছে। শ্রমিকের দাম বেশি, সার কীটনাশক, সেচ, বীজ, ধান কাটাসব মিলিয়ে যে দামে কৃষকরা ধান বিক্রি করছেন তাতে তাদের ব্যাপকহারে লোকশান গুণতে হচ্ছে। তবু নিজেদের খাওয়ার জন্য এবং নিরূপায় হয়ে ধানের আবাদ করতে হচ্ছে কৃষকদের। গত কয়েকদিন হঠাৎ করে চলনবিলাঞ্চলের নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাটমোহরের বোয়ালমারী, ছাইকোলা, লাঙ্গলমোড়া, নবীন, চড়নবীন, বরদানগরসহ বিভিন্ন এলাকার বিরের বোরো ধান ডুবতে শুরু করেছে। এলাকার কৃষকেরা চড়াদামে শ্রমিক নিয়ে বাধ্য হয়ে কাঁচাপাকা, আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। গুমানী নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় জিয়ালগারি লালের মুখের বাঁধ ভেঙে ছাইকোলা, নবীন, চড়নবীন এলাকার বোরো ধান ক্ষেত ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা তলিয়ে যাওয়ার ধানও কাটতে পারছেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন