শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

৬৫ বছরেও ভূমি জরিপ হয়নি বানারীপাড়ায় তিন হাজার একর ভিপি ও খাস জমি প্রভাবশালীদের দখলে

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে

গত দশ বছরের বেশি ধরে সহকারী কমিশনার(ভূমি) পদ শূন্য থাকা, কর্তব্যরত কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজে গাফেলতি, অনিয়ম দুর্নীতি এবং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবে বিগত ৬৫ বছরের সরকারি কোন জরিপ না হওয়ায় সর্বত্র লেগে আছে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ। এছাড়া পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় সাড়ে তিন হাজার একরেরও বেশি অর্পিত (ভিপি) খাস, দেবোত্তর জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ভিআইপিদের দখলে রয়েছে। বানারীপাড়ায় সর্বমোট ২হাজার ২শত ১৩একর অর্পিত সম্পত্তি (ভিপি) রয়েছে। এছাড়া এক হাজার একরেরও বেশি খাস ও দেবোত্তর জমি রয়েছে। তবে সে জমি কোথায়, কি অবস্থায় আছে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে। সর্বশেষ তথ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৯ একর জমি লিজকৃত খাজনার টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সরকারি এই বিশাল পরিমাণ জমি বনারীপাড়ার বিভিন্ন প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতাদের দখলে রয়েছে। উপজেলার হাজারো নদীভাঙা অসহায় মানুষ একদিকে যাযাবর জীবন-যাপন করছে, অপরদিকে সরকারি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠছে ভিআইপি কলোনী। কেউ কেউ এক বছরের লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল অট্টালিকা। এক গোপন সমীক্ষায় জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌর এলাকায় দুই-তৃতীয়াংশ জমি খাস এবং ভিপি। যে যেখান থেকে যেভাবে পেরেছে দখল করে নিয়েছে। বিগত ৬৫ বছরেও কোন সরকারি জরিপ না হওয়ায় তাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গত যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযানে কিছুটা মুক্ত করা হলেও রহস্যজনকভাবে অভিযানের প্রথম দিনেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বারবার সরকারি জরিপের কথা শোনা গেলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্রভাবশালী এসব দখলদারদেরই উচ্চ পর্যায়ে লবিং করে জরিপ প্রতিহত করছে বলে সচেতন মহলের ধারণা। সন্ধ্যানদীর উভয় পাড়ে প্রতিবছর যে নতুন চর পড়ছে তাও একটি মহল দখল করে নিচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন নীরব। উপজেলার কোথায় কি পরিমাণ অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে কিংবা কাকে কতটা লিজ দেয়া হয়েছে এর কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। খাস ও দেবোত্তর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলে তা পাওয়া যায় না তোপূর্বের কাগজপত্রে যথেষ্ট বিশৃঙ্খলা রয়েছে। কোন ফাইল আপটুডেট নেই। দীর্ঘদিন অফিসার না থাকায় বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দখলদারদের যাবতীয় অপতৎপরতায় ভূমি অফিসের কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় সহযোগিতা যুগিয়ে আসছে। ফলে সাধারণ জনগণ সেবার নামে সবসময়ই প্রতারিত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন