তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ায় অবস্থানকারী আরব ও কুর্দিদের স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করছে তুরস্ক। সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সিরিয়ায় আরবদের নিরাপত্তা ও শান্তির কথা আমরা বিবেচনা করছি। নিজেদের স্বার্থেই এমনটি ভাবতে হচ্ছে আমাদের। কুর্দিদের সমস্যা আমাদের সমস্যা বলেই মনে করি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নিজেদের কাজেই সিরিয়ায় তুর্কমেনসের কথা আমাদের ভাবতে হচ্ছে। আমরা এখনও সিরিয়ায় কেন অবস্থান করছি? সেখানে আমাদের যে আরব ও তুর্কি ভাইয়েরা রয়েছেন, তাদের মুক্ত করতেই আমাদের থাকতে হচ্ছে। সিরিয়ার স্বাধীনতা ও ভূখন্ডগত অখন্ডতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানান এ তুর্কি প্রেসিডেন্ট। গত ৩০ বছর ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে কুর্দিশ পিকেকে যোদ্ধারা। এতে নারী-শিশুসহ ৪০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ তুরস্ক পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে। এদিকে, তুরস্কে ভ্রমণের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দুই নেতা কবে একত্রে মিলিত হচ্ছেন সেই দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের মে মাসে এরদোগানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে তুরস্ক ভ্রমণ করতে চান। তবে ভ্রমণের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কালীন বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে ফোনে কথোপকথন হয়। এ সময় ট্রাম্পকে তুরস্কে ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানানো হয়।’ এদিকে তুরস্কে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস বলেছে, যেখানে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, সেখানে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ভবিষ্যতে তুরস্কে মিলিত হতেও পারেন। দ্য হিল, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন