ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক। এর মধ্যেই সোমবার বিকেলে ফের কেঁপে উঠেছিল ক্ষতিগ্রস্ত হাতায় এলাকাটি। ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ২০০ জন। এ পরিস্থিতিতে এবার অন্য বিপদের আশঙ্কাও ঘনাল সেদেশে।
আগেই প্রাণে বেঁচে যাওয়া গৃহহীন মানুষদের পাশে সেভাবে যে সরকার দাঁড়াচ্ছে না এই অভিযোগ উঠেছিল। এক জায়গায় বাধ্য হয়ে অনেক মানুষকে থাকতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাব ক্রমেই প্রকট হয়েছে। এমতাবস্থায় সেখানে নানা ধরনের সংক্রামক অসুখের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। একই অবস্থা সিরিয়ার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলিতেও।
একে তো ভূমিকম্প থেকে রেহাই মিলছে না। মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে মাটি। কিন্তু এরই পাশাপাশি দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া পরিবারগুলি কাঁপছে অন্য আশঙ্কাতেও। অভিযোগ উঠছে, অস্থায়ী ছাউনিতে একসঙ্গে অনেককে থাকতে হচ্ছে। অথচ পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই। দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও এলাকায় যেখানে অন্তত ২৫টি শৌচাগার প্রয়োজন, সেখানে রয়েছে মাত্র ১টি।
এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দ্রুত সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। তাই আগামী ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যথায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে বিপদ আরও বাড়তে বলেই আশঙ্কা। পানিবাহিত, খাদ্যবাহিত কিংবা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণজনিত অসুখে ভুগতে পারেন বহু মানুষ। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন