সিরিয়া ও তুরস্কে ভ‚মিকম্প-দুর্গত মানুষের জন্য বিমানভর্তি ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সউদী আরবের ক্লাব আল নাসরের এই পর্তুগিজ তারকা দুটি দেশের যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব জায়গায় এই সাহায্য পাঠিয়েছেন। স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, বাসস্থানের জন্য তাঁবু খাটানোর সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, বালিশ, কম্বল, বিছানা, শিশুখাদ্য, দুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রোনালদো।
গত মাসে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভ‚মিকম্পে প্রচুর লোক হতাহত হন। বাড়িঘর ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হয়েছে। তুরস্কে ৪৪ হাজারের বেশি ও সিরিয়ায় ৫০ হাজারের বেশি লোক মারা যান। তুরস্কের ১১টি প্রদেশে প্রায় ৫ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘মেইল অনলাইন’ ও ‘মার্কা’ জানিয়েছে, পর্তুগিজ কিংবদন্তি অর্থ দিয়ে ত্রাণসামগ্রী কিনে সেসব পরিবহনের ভাড়াও দিয়েছেন। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা) খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কা।
স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, ২৬ বছর বয়সী রোনালদো স¤প্রতি সিরিয়ান এক বাচ্চা নাবিল সাঈদের স্বপ্ন প‚রণ করেছেন। উদ্ধারকারীদের হাতে বেঁচে যাওয়ার পর নাবিল তাঁদের বলেছে, সে রোনালদোর সঙ্গে দেখা করতে চায়। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নাবিলকে সউদী আরবে আল নাসরের ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্বপ্নের তারকার সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুযোগও পায় নাবিল।
মানুষকে সাহায্য করায় রোনালদো বরাবরই উদারহস্ত। এর আগে এক বাচ্চার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের জন্য ৮৩ হাজার ডলার দিয়েছেন। আর পর্তুগালে একটি ক্যানসার সেন্টারে ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার আর্থিক সাহায্যও করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় পর্তুগালের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ১০ লাখ ডলার আর্থিক সাহায্য করেছেন রোনালদো। সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ডভিশন ও ইউনিসেফের মতো দাতব্য সংস্থাগুলোর দ‚ত হিসেবেও কাজ করেছেন রোনালদো।
মাঠেও ভালো সময় কাটছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই তারকার। গত মাসে চার ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করেছেন রোনালদো। তাতে পেয়েছেন মাস-সেরার স্বীকৃতিও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন