বিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পের পর কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এরই মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই অঞ্চলে গত বছর থেকে কলেরা শুরু হলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে ভূমিকম্পের কারণে ওই অঞ্চলে বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কলেরা।
দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে গত নভেম্বর থেকে কলেরায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক। মঙ্গলবার এক টুইটার পোস্টে হোয়াইট হেলমেট এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিকারকর্মী নুর কোরমুশ আল জাজিরাকে বলেন, শরণার্থী ক্যাম্প এলাকাগুলোতে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের আগেও সেখানে পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরণার্থীশিবিরের ৬৩ শতাংশও পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। আর ৪৩ শতাংশ পরিষ্কার পানির সংকট ছিল।
কোরমুশ আরও বলেন, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীরা। কাজেই পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না কলেরা আক্রান্তরা। ভূমিকম্পে ২০ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। ফলে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ। তারা এখন যে পরিবেশে বসবাস করছে, সেখানকার অবস্থা এতটাই নাজুক যে রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাড়ছে কলেরার প্রাদুর্ভাব।
তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে প্রাণ গেছে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের। আর সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ হাজার জনের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন