রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

বিভক্ত সমাজ ও গণতন্ত্র

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মানুষ প্রকৃতির উপর এখন শুধু খবরদারি করছে না, কর্তৃত্ব করছে মানুষের ওপরও। এখানেই সভ্যতা নামক রথের চাকা থেমে যাবার ভয়, এখানেই মানব বিকাশের পথ রুদ্ধ হবার আশঙ্কা। যতদিন মানুষের মুক্ত হাত সমাজকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রসারিত ছিল ততদিন অন্যের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত ও উর্বর হয়েছিল। কিন্তু সমাজ যখন গোষ্ঠির জন্ম দিল এবং গোষ্ঠি থেকে যখন রাষ্ট্র ও রাজার আবির্ভাব ঘটল তখন থেকেই মানুষের সাথে মানুষের আচরণ ও সম্পর্কের আত্মিক স্বীকৃতিতে ফাটল ধরল। শুরু হলো সত্য ও ন্যায়ের অপলাপ। খুব বেশি দিনের কথা নয়, হিটলারের স্বেচ্ছাচারী অমানবিকতায় ন্যায়ের সৌধ কীভাবে ধূলিসাৎ হয়েছিল তার সাক্ষী ইতিহাস।
সামাজিক মানুষ কি চায়? মনের সাথে মনের সম্পর্ক স্থাপন। একি শুধু ব্যবহারিক স্বার্থের খাতিরে? অসুস্থ মন যদি অসুস্থ সমাজের জন্ম দেয় তা হলে সংহতির ব্যাপারটাই একটা বড়ো প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হয়। মানুষ তখন শুধু নিরাশ্রয় হবে না, তার মধ্যে আসবে হিংস্রতা, পাশবিকতা। এই প্রসঙ্গে স্মরণ করি উপজাতীয় সমাজব্যবস্থার কথা, যেখানে একটা স্বতস্ফূর্ত সামাজিক ঐক্যবোধ লক্ষ করা যায়। আমরা বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারব যে, আমাদের মধ্যেও সেই উপজাতিসুলভ একতাবোধের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ নেই? মানুষের কর্মে ও চিন্তায় যে দীর্ঘ সামাজিক ও মানসিক বিবর্তন এবং তার ফলে যে বিভাজন তা থেকে উপজাতীয় ঐক্যের আদর্শে আজ আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু মত ও নীতির দ্ব›দ্ব আজকের দিনে প্রকট, তা সমাজের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় মোটেই। মানুষ আজও চিন্তাশক্তি হারায়নি। কিন্তু তার মধ্যে বেশি করে ঢুকেছে ভয়, উত্তেজনা, অবিশ্বাস। এরই ফলে নেতিবাদী চিন্তার করাল গ্রাসে পড়েছে মানুষ। আমাদের সমাজ আজ অসুস্থ বলেই গণতান্ত্রিক অধিকার শুধু বাহ্যত স্বীকৃত। সেই জন্যেই আজ রাষ্ট্র-সমাজের নৈতিক ভিত্তি বিপন্ন। আমাদের দেশ বা রাষ্ট্র অধিনায়কতান্ত্রিক। এখানে দুটো ধারণা পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত। একদলীয় সমাজের সাধারণ কর্মীকে এই বিশ্বাসে দীক্ষিত করা হয় যে, গোষ্ঠির নেতা অথবা নেতৃস্থানীয় শাসকমন্ডলী অভ্রান্ত, সত্যদ্রষ্টারূপ, আর নেতৃস্থানীয়রা বিশ্বাস করেন যে সত্য বলে কোনো বস্তু নেই, স্বার্থ অনুযায়ী সত্য-মিথ্যার নির্ধারণই সঙ্গত রাজনীতি। এ দুটোই ভ্রান্ত ধারণা। কিন্তু এর অবিরাম বিরোধিতা করবে কে বা কারা? সবাই তো দুই বিপরীত ধারণায় আছন্ন। তাই এটুকু বুঝে ওঠা দায় যে, সাময়িক স্বার্থ দেশের অথবা রাষ্ট্রের ভিতকে দিনের পর দিন দুর্বল করে তোলে। অম্লান দত্তের কথা ধার করে বলি, মানুষের সঙ্গে মানুষের স্বাজাত্যবোধের যে প্রেরণা মানুষের প্রকৃতিগত, সেই এষণা আজ পরিতৃপ্ত হতে পারে শুধু এমন কোনো সাম্যবাদী সমাজে যেখানে মানুষের ঐক্যের প্রতিষ্ঠা ভূমি কোনো প্রত্যক্ষ শাস্ত্রে অথবা নেতৃত্বে নয়, বরং মানুষের সঙ্গে মানুষের সমাজ অধিকারের স্বীকৃতিতে।
এই সমানাধিকার আজকের সমাজে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। নাগরিক জীবনে ধননবণ্টনের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার অভাব ও অসাম্যকেই এজন্য দায়ী করা যায়। নাগরিক সভ্যতা যতই বিস্তার লাভ করেছে, ততই একদিকে যেমন সমাজজীবনের উপরিতলায় সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে নিচুতলায় পাদপ্রদীপের অন্ধকার ক্রমশ গাঢ় ও ঘনীভূত হচ্ছে। আজ সমাজের তথাকথিত উঁচু ও নিচু মানুষের অন্যায় ও অনাচার শতমুখে বিস্তার লাভ করে চলছে। গ্রাম্য জীবনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার নরনারী অন্নের সন্ধানে ঘরবাড়ি, চাষবাস, কাজ-কারবার ফেলে শহরে চলে আসছে। অফিস-আদালত, কল-কারখানা, শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোর ক্রমবর্ধিত চাহিদাই তাদের টেনে আনছে শহরে-নগরে। এরা প্রত্যেকেই অবৈজ্ঞানিক ও অসম ধন বণ্টনের শিকার। কিন্তু যারা গ্রাম ছাড়তে পারল না, শহরে কাজের ধান্দায় ব্যর্থ হলো, তারা কিন্তু সুষ্ঠুভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারল না কোনোভাবেই। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে শেষ পর্যন্ত এরা বেকার হয়ে রইল। এরা সমাজ জীবনের ওপরতলার স্থান সংগ্রহ করা দূরে থাকুক, আর পাঁচজনের মতো সমাজ স্বীকৃত উপায়ে বাঁচার সুযোগ পেল না। এদের মধ্যে যদি কখনো সমাজকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বিধ্বস্ত করার স্পৃহা জাগে তাহলে আশ্চর্যের কিছু নেই। অপরাধপ্রবণতা যখন বিত্তবান অসাধু মানুষদের মধ্যে প্রবল হয় তখন তারা এসব বেকার ছেলেমেয়েদের সন্ধান করেও মদত দেয় আপন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। তাই আজ আর চুরি, জুয়াচুরি, ঘুষ দেয়া-নেয়া, জালিয়াতি, গুন্ডামি, বেআইনি মাদক বিক্রি, মেয়ে পাচার তথাকথিত নিচু তলার মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ঐশ্বর্য-সমৃদ্ধ উপরতলায়ও অন্যায়-অনাচার শতমুখে বিস্তার লাভ করে চলেছে।
সমাজের উঁচু-নিচু তলার অনেক মানুষ নিয়ে এই যে সুবৃহৎ একটা স¤প্রদায় এরা গ্রাম-নগর-বন্দর-শিল্পকেন্দ্রের আশপাশে সংঘবদ্ধভাবে দিনের পর দিন অনৈতিক ও বেআইনি কাজ-কারবার চালিয়ে যায়। নানা বিভ্রান্তিকর কৌশলে এরা লোকালয়ে বাস করে এমন চাতুর্য ও সতর্কতার সঙ্গে নিজেদের কাজকর্ম চালায় যে, খুব কম ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে তা ধরা যায়। উপর তলার জীবনে যে বাহ্যিক বিশালতা ও বৈচিত্র্যের ছবিটি আমরা দেখি তা যে কত হাজার দুষ্কর্মের ফলশ্রুতি তা আজও অনেকের কাছে অজানা।
দুষ্কৃতির মাদকতা একবার আস্বাদ করলে আর ফেরার পথ থাকে না। ছোটো অন্যায়ের আকর্ষণ মানুষকে বৃহত্তর অন্যায়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলে। এভাবে সমাজের উঁচু ও নিচু তলায় অপরাধপ্রবণতা দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে এবং সমাজের সর্বনাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। এ বড়ো দুশ্চিন্তার কথা। প্রকাশ্যে এবং গোপনে অপকর্ম যেভাবে জাঁকিয়ে উঠেছে তাতে সভ্যতার পাতাল প্রবেশের আর বেশি দেরি নেই। আমাদের সমাজেই তৈরি হচ্ছে জালনোট, বাজার ছেয়ে যাচ্ছে নিষিদ্ধ জিনিসে, মেয়ে পাচার হচ্ছে দূর-দূরান্তে, ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রন্থ, রবারের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবসা পুলিশের সন্ধানী দৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়েই চলে। এইসব অপরাধে সময়সময় দু’চারজন ধরা পড়ে বটে, কিন্তু বেশিরভাগই ধরা পড়ে না। নানা ধরনের জুয়ার ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে, পিতলের বাটকে সোনার বার বলে চালানোর ঘটনা ঘটছে আকছার। মেয়ে দিয়ে প্রলুব্ধ করার নজির যত্রতত্র। সই জাল করা, ব্ল্যাকমেল করা, চোরাই ফল বিক্রি- এই সবকিছুর পেছনে আছে বিকৃতরুচির ইতর-ভদ্র জন। নন্দগোপাল সেনগুপ্ত তাঁর সমাজ সমীক্ষা: অপরাধ ও অনাচার গ্রন্থের ৭৭ পৃষ্ঠায় একটা ঘটনার উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটা এইরকম: কলকাতার এক যুবক কিছুদিন আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন কুইন্স এভেন্যু দিয়ে আসার মুখে, রাত প্রায় দশটা নাগাদ একটি সুন্দরী তরুণীকে একা ঘোরাফেরা করতে দেখেন। তরুণীটি তাঁর কাছে এগিয়ে এসে এমন হাবভাব দেখায়, যাতে যুবকটি বিভ্রান্ত হন। তারপর তাকে প্রলব্ধ করে তরুণী রেস-কোর্সের ভেতরে গিয়ে ঢোকে, পিছু পিছু যান যুবকটি। যথাকালে তিনি বুঝতে পারলেন, সেটি মেয়ে নয়, ছেলে। ইতোমধ্যে বলিষ্ঠ দেহ দুই ব্যক্তি দু’দিক থেকে এসে যুবকটিকে চেপে ধরল এবং বেদম প্রহার করে তাঁর ঘড়ি, বোতাম, কলম ও চশমা ছিনিয়ে নিল। পকেটের টাকা-পয়সাও তাঁকে খোয়াতে হল। যুবকটি কোনোক্রমে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে ওই স্থানে সতর্ক দৃষ্টি রেখে এবং বিশেষ অনুসন্ধান চালিয়েও দুষ্কৃতকারীদের আর পাত্তা পাওয়া যায়নি। এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশেও হয়তো বিরল নয়। মেয়ে দিয়ে প্রলুব্ধ করে টাকা-পয়সা লুটে নেয়া তো এখানে প্রায়ই ঘটছে।
আজকের সমাজে কোনো শিক্ষাই সম্পর্ণ কলুষমুক্ত নয়। রাজনীতির শিক্ষাও ধীরে ধীরে কলঙ্ক-কালিমায় লিপ্ত হয়েছে। জনগণের যারা প্রতিনিধি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই সমালোচনা প্রবল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেই ভোটে নির্বাচিত হন প্রতিনিধি। সমস্যা এই, একই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভোট নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে সমগ্র ভোটদাতাদের সংখ্যালঘু অংশের সমর্থন লাভ করেও কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। যেহেতু ভোটদাতাদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক চেতনাহীন তাই তাঁরা মিথ্যা প্রচার, বাকচাতুর্য ও দুর্নীতিপরায়ণতার শিকার হয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে ভোটদান করতে পারে। সুতরাং, ভোটদান যতই গণতন্ত্রসম্মত হোক না কেন, এই ব্যবস্থায় প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট অঞ্চলের স্বার্থরক্ষার জন্য যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারটা অবহেলিত হয়েছে বহু বার। অঞ্চলের যিনি প্রতিনিধি তিনি আঞ্চলিক স্বার্থ অবশ্যই দেখবেন। কিন্তু সামগ্রিক জাতীয় স্বার্থকে তিনি উপেক্ষা করতে পারেন না কোনোভাবেই। এখন জনপ্রতিনিধি যদি শুধু আত্মস্বার্থ-সর্বস্ব হন তাহলে তাঁর প্রতিনিধিত্ব কৃত্রিম ও বাস্তব অবস্থার সাথে সংগতিহীন হয়ে পড়ে। আজকের দিনের জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই সংকীর্ণ স্বার্থের গন্ডি পেরিয়ে নাগরিক জীবনের জন্য সামান্যতম দায়িত্বটুকু পালন করতে পারছেন না। যাঁরা পারছেন জনগণ তাঁদের মাথায় রাখছেন, যাঁরা পারছেন না, জনগণের হৃদয়বিদায়ী মুর্দাবাদ ধ্বনিতে তাঁরা ধিকৃত হচ্ছেন। একথা আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিকে প্রধান্য দিচ্ছেন। ফলে প্রকৃত প্রস্তাবে জনকল্যাণ ব্যাহত হচ্ছে। কল্যাণকামী ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের কাছে এ এক বড়ো চ্যালেঞ্জ। সন্দেহ নেই, নির্বাচনে সাফল্য লাভ জনপ্রতিনিধির এক বড়ো প্রাপ্তি। জনগণকে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিতে, ভবিষ্যৎ সমাজের অনেক রঙিন স্বপ্নে বিভোর করেন। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রকৃত অর্থেই অযোগ্য দলনেতা সেই সব প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হন। ভোটে জয়ী হয়ে অনেকেই আর ব্যক্তিগত স্বার্থ সাধনের জন্য মরিয়া হয়ে বিচারবুদ্ধি বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেন না, বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাতে করতে সংকোচ বোধ করেন না। সমাজের উঁচুতলা ও নিচুতলার মানুষের মধ্যে যে মূল্যবোধহীন তার সাথে বহু রাজনৈতিক নেতার স্বার্থ ও উচ্চাশা যুক্ত হয়ে সমাজের উন্নয়নের গতি ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষমতার স্বাভাবিক প্রকৃতি মানুষের দুর্নীতিপরায়ণ করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী Lord Acton আর এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, Absolute power corrupts absolutely. বাংলাদেশে এটাই আজ প্রত্যক্ষ করছি আমরা। প্রতিনিধির ক্ষমতার ওপর জনগণের নিয়ন্ত্রণ থাকাটা আজকের দিনে আমাদের দেশ ও সমাজে একান্ত জরুরি। এই নিয়ন্ত্রণের অভাবেই জননেতা জনস্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে। এর জন্যে চাই আরো বেশি ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, গঠনমূলক চিন্তা ও কর্মোদ্যম। সমাজে অন্যায় ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেই হারে অন্যায়ের প্রতিকারকল্পে গণতান্ত্রিক অথচ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দেশময় ছড়িয়ে পড়ছে না। যুক্তিবিচার ও সহিষ্ণু প্রতিবাদকে অগ্রাধিকার দিতে হবে আমাদের, যদিও মাঝে মাঝে ‘পিঠে কুলো বাঁধা ও কানে তুলো গোঁজা’ উদাসীন, অনড় হর্তাকর্তাকে ঘা দিয়ে চৈতন্য জাগাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সেই ইচ্ছাকে দমিত রাখতে হবে। কারণ, আঘাত দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হলে তাতে অন্যায়ের অবসান ঘটে না বরং তা থেকে আরো কঠিন অন্যায়ের সৃষ্টি হয়। তাই বলতে হয় গণতন্ত্রের পথ যতদিন খোলা আছে ততদিন সেই পথই শ্রেয়। রাজনৈতিক নেতাদের জনস্বার্থে দায়িত্ববোধ, গঠনমূলক চিন্তা ও কাম্যদ্যমী হওয়া প্রয়োজন।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন