চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়লো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। একই সময় ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানঘর মালিকের বসতঘরের জানালাসহ বেশ কয়েকটি পরিবারের বসতঘরের বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙেছে ঐ দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গৃহিনী শাহিন বেগম। ঘটনা ঘটে নির্বাচনের দিন দুপুর বেলা উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর হাওলাদার বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদের ভোট গ্রহণের দিন দুপুরে রামচন্দ্রপুর ভুইয়া একাডেমি ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করলেও সড়কের পাশে হাওলদার বাড়ির সামনে দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিক মো. লুৎফুর রহমানের দোকানঘরটি একদল দুর্বৃত্ত আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপরেই দুর্বৃত্তের ঐ দলটি হালদার বাড়িতে ঢুকে লুৎফুর রহমানের ঘরের জানালাসহ ওই বাড়ির কমপক্ষে ১০টি পরিবারের বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙ্গে দেয়।
এ বিষয়ে মো. লুৎফুর রহমানের স্ত্রী শাহিনা বেগম জানান, আমার স্বামী-সন্তান ঢাকায় থাকে। বাজারে যখন সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে তখন আমি দুই শিশু সন্তানকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে অবস্থান করি। কিছুক্ষন পরেই একদল দুর্র্বৃত্ত এসে ঘরের দরজা-জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙ্গে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওইদিন বিকালে বিদ্যুতের লোকজন এসে ভাঙ্গা মিটারগুলো খুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমরাসহ পুরো বাড়ি অন্ধকারে এবং আতঙ্কের মাঝে রাত্রিযাপন করছি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মো. লুৎফুর রহমান জানান, আমার ভাড়া দেয়া দোকান ও বসতঘরে হামলার ঘটনায় আমার স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ও ফোনে কান্নাকাটি শুরু করে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু আমার স্ত্রী ঘরের ভেতরে ছিলো এবং কাউকে দেখতে পায়নি, সেহেতু থানায় অভিযোগের প্রয়োজন মনে করি না।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কবে নাগাদ মিটার পাবে, এ বিষয়ে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. কেফায়েত উল্যাহ জানান, ক্ষতিগ্রস্থ মিটারগুলো খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মিটারের চার্জ পরিশোধ করলে আমরা মিটারগুলো লাগিয়ে দিবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন