সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাখীবরদি গ্রামে ছাগলে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতদের মধ্যে একজনের বাম হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে বলে অভিযোগ উঠে। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১০টি টেঁটাসহ ১ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষিবরদী গ্রামের আমিনউদ্দিনের কলাই জমিতে রোববার বিকেলে পাশের ইদ্রিস আলীর একটি ছাগল কলাই খাচ্ছিল। এ সময় আমিন উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা ওই ছাগলকে একটি ঢিল ছুড়ে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে ইদ্রিস আলী ও রোকসানার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ইদ্রিস আলী রোকসানা ও তার প্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান ওই বাড়িতে গিয়ে রোকসানাকে চিকিৎসার অর্থ দিয়ে চলে আসার সময় ইদ্রিস আলীকে রাস্তায় পেয়ে তাকে মারধরের বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন। চেয়ারম্যান চলে আসার পর বেলা ১১ টার দিকে পুনরায় ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে রুহুল আমিন, আবুল হোসেন, সেলিম মিয়া, ইমরান, রুবিয়াসহ ১২-১৫ জনের একটি দল রাম দা, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড নিয়ে রোকসানার বাড়িতে হামলা চালিয়ে রোকসানাকে পুনরায় পিটিয়ে আহত করে।
পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ইদ্রিস আলীকে শাসালে এসময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, পনির হোসেন, নয়ন, নিরব, জুয়েলসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পনির ভ‚ইয়ার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইদ্রিস আলীকে আটক করেছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান জানান, রোকসানা খুবই অসহায় একজন মহিলা। তার পরিবার খুবই দরিদ্র। তার পরিবারে দুজন প্রতিবন্ধী রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের খোঁজ খবর আমি নিয়ে থাকি। এ পরিবারে হামলার খবর পেয়ে আমি সকালে গিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহযোগিতা দিয়ে এ পরিবাররের উপর জুলুম না করার অনুরোধ করে আসার পর ইদ্রিস আলী পুনরায় হামলা করে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন জানান, ইদ্রিস আলীর পরিবার এলাকায় খুবই খারাপ প্রকৃতির বলে সবারই জানা আছে। কারনে অকারনে মানুষের উপর তারা নির্যাতন করে।
অভিযুক্ত পুলিশের হাতে আটক ইদ্রিস আলী বলেন, আমাকে রোকসানা মারধর করেছে। এ বিষয়টি আমার ছেলেরা মেনে নিতে পারেনি। রোকসানা ও নুরুল ইসলাম মেম্বার মিলে চেয়ারম্যানকে দিয়ে আমাকে অপমান করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন