রংপুরের পীরগাছায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ভিড় জমে ওঠেছে রেল স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে। ‘দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, একদাম এক রেট, একটা নিলে একটা ফ্রি’ এভাবেই নিম্নবিত্ত নারী, পুরুষ ও তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে তাদের মাঝে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন নানা শ্রেণি পেশার ক্রেতা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। উচ্চ আয়ের লোকেরা বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেট থেকে গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা রেলওয়ে স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে বিক্রি করা শীতের কাপড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রেলওয়ে স্টেশনে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। গরীবদের পাশাপাশি অনেক উচ্চবিত্তরাও পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে। ‘দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, একদাম এক রেট, একটা নিলে একটা ফ্রি’ দোকানিদের এমন হাঁকডাক শোনা যাচ্ছে। শীতের তীব্রতায় বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে একটু দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। এ চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, এ মার্কেটে ক্রেতাদের সামর্থ্য মতো বিভিন্ন দামে শীতের কাপড় পাওয়া যায়। প্রতি দিনই শত শত নিম্নবিত্ত মানুষ শীতের কাপড় কিনতে এখানে আসে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপি সবই মিলছে এসব দোকানে। এখানে নিম্নবিত্তরা কাপড় কিনলেও বর্তমানে উচ্চ আয়ের লোকেরাও এখান থেকে কাপড় কিনছেন। এখানকার ব্যবসায়ীরা শুধু শীতের মৌসুমে কাপড় কেনা-বেচা করে থাকেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে তেমন দোকান না থাকলেও শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার ব্যবসা জমজমাট হয়। এসময় বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে তারা ভালোই লাভবান হবেন। ক্রেতারা জানান, শীতের সময় এ মার্কেট থেকে পরিবারের সবার জন্য অনেক কম দামে শীতের পোশাক কিনতে পারি। যা দিয়ে আমরা শীতের মৌসুম পারি দিতে পারি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন