বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুপচাঁচিয়ায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্টেন : প্রশাসন নীরব

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মোঃ গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো নামে বেনামে গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। অধিকাংশ স্কুলই সরকারি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই নিজেদের ইচ্ছামতো স্কুল গড়ে তোলে তা পরিচালনা করছে।
উপজেলার ২ টি পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকাগুলোতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুল। জনবহুল এলাকা সহ অলিতে গলিতে এই সব কিন্ডারগার্টেনের সাইনবোর্ড দেখা যায়। স্কুলগুলোর মধ্যে হাতে গোনা ২ থেকে একটি নিজস্ব ভবন থাকলেও অধিকাংশই পরিচালিত হচ্ছে ভাড়া বাসা বা বাড়িতে।

এই সব কিন্ডারগার্টেনের বেশীরভাগেরই ভালো শ্রেণীকক্ষ নেই। পর্যাপ্ত আলো বাতাস নেই। সেই সাথে খেলাধুলার প্রসস্থ কোন জায়গাও নেই। সামনে জায়গা না থাকায় এই সব কিন্ডারগার্টেনে জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্ত গাওয়া হয় না। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশিত হতে বিঘ্ন ঘটছে। বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ করে বিদ্যালয় হচ্ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্র। এসব কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোটা বেতনের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যাদের অধিকাংশই শিক্ষকতার কোন প্রশিক্ষণ নেই। আর এই সব নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নাম প্রচার করে অভিভাবকদের প্রলোভিত করে তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি করানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে গত ১ জানুয়ারী মঙ্গলবার উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, তার এলাকার সাহারপুকুর বাজারে নতুন কুড়ি ও স্টার প্লাস নামে ২ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল স্থাপিত হয়েছে। তাদের বিজ্ঞাপনে প্রলোভিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এই কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হচ্ছে। ফলে এই এলাকার শ্রীপুর, গোবিন্দপুর ও আমষট্ট ৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বহুলাংশে কমে যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার বই উৎসবে বিদ্যালয়গুলোতে অনেক বই শিক্ষার্থীদের অভাবে জমা রয়েছে। একই সাথে তিনি জানান, সরকারি নিয়ম নীতিমালার তোয়াক্কা না করে এ ধরনের কিন্ডারগার্টেন গড়ে তোলায় পড়াশুনার মান যেমন কমে যাচ্ছে অপর দিকে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন