বেতাগী সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রনিবাসের জন্য নির্ধারিত জমিতে প্রভাবশালী ব্যাংকার মো. ফেরদাউস হোসেন মন্টু মিয়ার দখলে নেয়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজীব আহসান ও উপজেলা ভ‚মি অফিসের ভারপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার মোঃ আহসানুল হক রুবেল এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
বেতাগী সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে বেতাগী মৌজার ১১৮৮ খতিয়ানের শূন্য দশমিক ১২ একর জমির ওপর ২০১২ সালে ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৫মতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের ফাউন্ডেশনের মাত্র ৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না পাওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংকার ফেরদাউস হোসেন মন্টু মিয়া নিজের জমি দাবি করে বরগুনা জজ আদালতে মামলা করেন। বর্তমানেও ওই মামলা বরগুনা জজ আদালতে চলমান রয়েছে। সরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘বেতাগী মৌজার ১১৮৮ খতিয়ানের শ‚ন্য দশমিক ১২ একর ১৯৭২ সালে ওই জমি সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর এর মাধ্যমে দখলে নেয়। মন্টু মিয়া ওই জমি দাবি করলেও তার কোন ভিত্তি নেই।’
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ব্যাস্ততার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপজেলার হোসনাাদ শাখার সাবেক ব্যাবস্থাপক মোঃ ফেরদাউস হোসেন মন্টু মিয়া অবৈধভাবে নিজের জমির সাথে কলেজের ছাত্রী নিবাসের জমি যোগ করে এক রাতের মধ্যে শ্রমিক নিয়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করেন।
এ বিষয় ফেরদাউস হোসেন মন্টু মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলা হবে বলে ফোন কেটে দেয়। এক পর্যায় ফোন বন্ধ করে রাখেন।
অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আমীন জানান, ‘জমির ওপর শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও মামলা বরগুনা জজ আদালতে মামলা চলমান থাকায় এবং মামলার কোন নিস্পত্তি না হওয়ায় শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পাশের জমির মালিক ব্যাংকার মোঃ ফেরদাউস হোসেন মন্টু মিয়া এর আগের কয়েকবার অবৈধ দখলের চেষ্টা করে আসছিল।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন