নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় একাধিক স্থানে কর্ণফুলী নদী ভাঙনে শত শত বাড়িঘর, দোকান, মার্কেট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের কবলে রয়েছে। নদী ভাঙন রোধ করা না গেলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চন্দ্রঘোনা জেসি দাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রঘোনা বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়িসহ একাধিক স্থাপনা বিলীনের আশঙ্কা করছে স্থানীয় গ্রামবাসী। ইতিমধ্যে দোভাষীবাজারের আমতলি এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট, বাড়িঘর নদীর গর্ভে চলে গেছে। কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করে গেলেও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে স্থানীয়রা জানান। চন্দ্রঘোনা বন শুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির বনপ্রহরীরা জানান, অব্যাহত ভাঙনে বন অফিসের কমপক্ষে ১০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। আর মাত্র কয়েক ফুট চলে গেলেই পুরো অফিস রাক্ষুসে নদীর গ্রাসের শিকার হবে। অফিসের চারিপাশে শতশত ঘনফুট বিবিধ প্রজাতির কাঠ মজুদ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু হওয়ার পূর্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে বনবিভাগের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। দোভাষীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চন্দ্রঘোনা এলাকায় নদী ভাঙনরোধে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কর্ণফুলী নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও উপ-শহরখ্যাত চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে কোন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাট, দোভাষীবাজার, আমতলী, নবগ্রাম, মিনারপাড়া, খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল চৌধুরী সড়ক, ফরেস্ট অফিস এলাকায় শতশত বসতবাড়ি, দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। চন্দ্রঘোনা বন অফিসের ফরেস্টার মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমের পূর্বে ব্যবস্থা না নিলে বন অফিস সহ স্থানীয় শতশত স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন