সীমান্তবর্তী যশোরে ভারতীয় ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চলছে। শুধু মাদক বিক্রেতা নয়, এর পেছনে কারা মদদদাতা, কারা মাদক ব্যবসায় লগ্নিকারী তাদের খুঁজে বেরা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে অভিযানে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে ব্যস্ততায় পুলিশের চলমান অভিযান অনেকটা ভাটা পড়লেও নতুন বছরের প্রথম থেকে দিনরাত সমানতালে জোরদার অভিযানে বেশ সাফল্য আসছে। অভিযানে শুধু মাদক ব্যবসায়ী নয়, সন্ত্রাসী ও অপরাধীসহ সমাজবিরোধীদেরও আটক করা হচ্ছে।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম, পিপিএম গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। গত এক সপ্তাহে অভিযান বেগবান করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুর্ণোদ্যমে একযোগে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে জেলার সকল থানা,ফাঁড়ি ও আইসি ক্যাম্পের পুলিশ। মাদক নির্মূলে ইতোমধ্যে বেশ সাফল্য এসেছে। যশোরে মাদক শূন্যের কোঠায় আসবে ইনশা আল্লাহ। এসপি মঈনুল হক অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশ ও জাতির শত্রæ যারা, তারা যারাই হোক বিন্দুমাত্র আপোসের সুযোগ নেই।
জেলা পুলিশের ডিএসবি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারী থেকে ৭ জানুয়ারী এক সপ্তাহে জেলার ৮ উপজেলার সবখানে অভিযান চালিয়ে প্রতিদিনই কমবেশী মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের আটক করা হচ্ছে। ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনছার উদ্দীন জানান, জেলা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযানে এক সপ্তাহে মাদক মামলা হয়েছে ১০টি। মাদক ব্যবসারী আটক হয়েছে ১১ জন। উদ্ধার হয়েছে ৩শ’ ৪৮ পিস ইয়াবা ও শতাধিক বোতল ফেনসিডিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন