শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

লালপুরে ভাপা পিঠার দোকানে ভিড়

লালপুর (নাটোর) থেকে মো. আশিকুর রহমান টুটুল | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

উত্তরাঞ্চলের পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুরে এখন জেঁকে বসেছে শীত। শীতকালে পৌষ-পার্বন বাঙালি সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। শীতের আমেজ এর সাথে লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন জনপ্রিয় পিঠার দোকান। এই সকল দোকান গুলিতে সকাল ও সন্ধ্যায় পাওয়া যায় শীত মৌসুমে গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের জনপ্রিয় পিঠা। আগে শীতের সময় গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে নানা-রকম মুখরচক সুস্বাদু পিঠা-পুলি তৈরী করতেন বাড়ির গৃহবধূরা। তবে বর্তমানে তা আর দেখা যায়না। বাঙ্গালির সেই ঐতিহ্যবাহী পিঠা এখন ঘর ছেড়ে সড়কের পার্শে¦ ও মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমান দোকানে শোভা পাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে একটি চুলার সমনে কাঁঠের বেন্স পেতে নতুন খেজুরের গুড় আর নতুন ধানের চাউলের আটার তৈরী ভাপা পিঠা বিক্রয় করছেন সাব্বির। তার তৈরী পিঠা খেতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভীর জমতে শুরু করেছে পিঠা প্রিয় মানুষেরা।শীতের সকালে গরম ভাপা পিঠা কার না পছন্দ। তাই তো সকালে ঘন কুয়াশার কাটতে না কাটতেই গরম ভাপা পিঠার অপেক্ষায় কাঠের বেন্সের উপরে বসে আছেন অনেক গ্রাহক। কেউ কেউ আবার পিঠা খাচ্ছেন। পিঠা খাওয়ার সাথে সাথে জমে উঠেছে গল্পের আসর। অবশ্য এই চিত্র নিত্য দিনের। ভাপা পিঠা আর গল্পের আড্ডা গ্রাম বাংলার এক চিরচারিত ঐতিহ্য যা কালের আবর্তে এখন গৃহস্তের বাড়ির আঙ্গিনা পেরিয়ে হাটে-বাজারে এসে উঠেছে। এসময় পিঠা বিক্রেতা সাব্বির আহম্মেদ ইনকিলাব প্রতিবেদক কে জানান, ‘প্রতিদিন শতাধিক লোক তার দোকানে পিঠা খেতে আসেন। এদের মধ্যে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। পিঠা বিক্রয় করে ৫০০-৬০০ টাকা তার আয় হয়।’

পিঠা খেতে রাবি থেকে আসা পিএইচডি গবেষক ভাস্কর সরকার ইনকিলাব কে বলেন,‘শীতের পিঠা না খেলে কেমন যেন শূণ্যতা লাগে। তাই রাস্তা-ঘাটে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খেয়ে রসনার তৃপ্ততা অনুভোব করছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন