বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সাব জোন অফিস বিদ্যুৎ সংযোগে অবিস্মরণীয় সফলতা অর্জন করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের স্মরনীয় কার্যক্রম উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকসহ সকল পর্যায়ের মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে আশাশুনির দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের উত্তর পাড়ায় মাত্র দু’ঘন্টার মধ্যে একই সাথে নতুন লাইন নির্মাণ পূর্বক ট্রান্সফরমার উত্তোলন সাপেক্ষে নতুন মিটার সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। একই দিন একসাথে উক্ত স্থানে ভ্যানযোগে মালামাল নিয়ে স্পটে গ্রাহকদের থেকে আবেদন গ্রহন, পরীক্ষা নীরিক্ষা, প্রয়োজনীয় টাকা জমা নিয়ে মাত্র দু’ঘন্টার মধ্যে ট্রান্সফরমা উত্তোলন, ৯ জন গ্রাহককে মিটার স্থাপন ও নতুন লাইন সংযোগ প্রদান করা হয়। উত্তরপাড়া এলাকার জনবসতির পরিবারগুলো বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দীর্ঘকাল বসবাস করে আসছিল। সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ ঐ এলাকার রুবেল, শরিফুল, সাইফুল, শাহিনুর, মনিরুল, আলমগীর, সাইদ, জাহিদ ও রমজানের ঘরে কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই স্বল্পতম সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছে। সফলতার সাথে কাজ বাস্তবায়ন করেন, এজিএম মধুসুদন রায়, জুনিঃ ইঞ্জিঃ আবুল কালাম, ওয়ারিং ইন্সপেক্টর সাইদুর রহমান, এলটি শাহজাহান আলি ও লাইনম্যান সুমন মিঞা।
গ্রাহক পর্যায় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের জন্য আবেদন করার সাথে সাথে আশাশুনির বিদ্যুৎ বিভাগ কার্যক্রম শুরু করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে আশাশুনিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়না বললেই চলে। নিতান্ত কাজের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হলে পূর্বেই মাইকিং করা হয়ে থাকে। গত বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আশাশুনিতে ৫ হাজার ৪২১ জন গ্রাহককে নতুন সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। বিগত উন্নয়ন মেলার দিন এক দিনের আবেদনে ৪৮ জন গ্রাহককে সাথে সাথে টাকা জমা নিয়ে মিটার স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এব্যাপারে এজিএম মধুসুদন মন্ডল জানান, সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে বিদ্যুৎ ঘাটতি নাই। বর্তমানে ২০ হাজার মেঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। লাইন যথাযথ ব্যবস্থাপনার কারণে লাইন ফল্ট হয়না। যে কারনে ভাল বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। স্থানীয় গ্রাহক ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, বিদ্যুৎ অফিস এখন দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় এবং কর্মকর্তার সচেতনতায় গ্রাহক হয়রানী হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন