শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সংলাপের প্রস্তাব কামাল হোসেনের সরকার কি নতুন নির্বাচন দেবে?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কয়েক দিন আগে ঐক্যফ্রন্টের তরফ থেকে ড. কামাল হোসেন সরকারের কাছে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। সাথে সাথে আ. লীগ সেই প্রস্তাব লুফে নিয়েছে। কিন্তু কি লাভ হবে এই সংলাপে? ড. কামাল আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুননির্বাচন চেয়েছেন। তেমন একটি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সেই দাবিটি সরকারের নিকট থেকে ছিনিয়ে আনতে হবে। সেই শক্তি কি কামাল হোসেনের আছে? তা হলে কেন সেই সংলাপ? সেই সংলাপে জাতীয় পার্টি, মেনন, ইনুর দলসহ সকলকেই নাকি ডাকা হবে।
সেখানে কামাল হোসেনের ভূমিকা কী হবে? সরকারের সাথে মাখামাখি করতে গিয়ে বিএনপির সাথে যদি কামাল হোসেনের মতান্তর ঘটে তাহলে কী হবে? গত ৩০ ডিসেম্বর ঠিক কোন জাতের ভোট হয়ে গেল সেটি সাধারণ মানুষের বুঝতে বহু সময় লাগবে। সাধারণ মানুষ কেন, অসংখ্য শিক্ষিত মানুষও এই ভোটের প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় না। সাধারণ নির্বাচনের নামে সেদিন কী ঘটে গেছে সেটি এখন কোটি কোটি মানুষের মুখে মুখে ঘোরাফেরা করছে। এই পটভূমিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন জাতীয় সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় সংলাপের ভিত্তিতে আবার সাধারণ নির্বাচন করতে হবে।
কীভাবে কামাল হোসেন সাহেবরা পুননির্বাচনের দাবি আদায় করবেন? তারা নাকি জাতীয় সংলাপ করবেন। কার সাথে জাতীয় সংলাপ? বলা হয়েছে যে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুননির্বাচন করতে হবে। আবার নির্দলীয় সরকার? ইলেকশনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ হলো সেখানেই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দলীয় সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে ৯০ শতাংশ ভোট লাভের পর তারা আবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুননির্বাচনে যাবে কেন? তারপরেও প্রশ্ন আছে। কার সাথে এ সংলাপ হবে? সে প্রশ্নটি সেদিন তার সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করা হয়নি। নিশ্চয়ই এটি সরকারের সাথে নয়। কারণ সরকার এ ধরনের সংলাপে বসবেই না। তাহলে কার সাথে? একটি পত্রিকা অবশ্য এই মর্মে জল্পনা করেছে যে, সুধী বা নাগরিক সমাজের সাথে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সুধী সমাজ বা নাগরিক সমাজের সাথে এই ধরনের সংলাপ করে লাভ কী? কে শুনবে তাদের কথা? বরং ব্যাপারটি হবে উল্টো।
৩০ তারিখে কোন ধরনের ভোট হয়েছে সেটির একটি চিত্র তুলে ধরেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর আক্তারুজ্জামান। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ফেসবুক পেজ এবং একটি দৈনিকের কলামে লিখেছেন। তিনি এবার কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করছিলেন। এর আগেও তিনি দুবার ধানের শীষ নিয়ে এমপি হয়েছিলেন। এবার তার প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ। মেজর আক্তার ৩০ তারিখে তার এলাকার ভোটের যে বিবরণ দিয়েছেন তা মোটামুটি নিম্নরূপ:
তার জবানিতে ভোটের আগের রাতে পুলিশ ভোট কেন্দ্রে যায়। সেখানে সিল মেরে ভোট বাক্স ভরায়। এভাবেই নৌকার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে লাঙ্গলের বিজয়ের ৫০ ভাগের বেশি তারা রাতেই নিশ্চিত করে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট। ভোট শুরুর আগেই মেজর আক্তারের পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ভোট শুরুর ঠিক পূর্বাহ্নে পুলিশ তাদের বের করে দেয়। যারা ভোট দিতে এসেছিলেন সেই ভোটারদের অধিকাংশের হাত থেকে কাগজ নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। অতঃপর শুরু হয় নৌকায় সিল মারার উৎসব। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দিচ্ছে, এটি দেখানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাক পরা অনেক মানুষ এবং তাদের সাথে আওয়ামী লীগের লোকগুলো লাইন দিয়ে ভোট দেয়। মেজর আক্তার বলছেন, শুধু তাই নয়, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে তাদের উপস্থিতিতে নৌকার লোকজনকে দিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যালট পেপারে সিল মারায়। তিনি ফেসবুকে অভিযোগ করেন যে, তাদের এই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, এরশাদের ভোট অথবা বেগম জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটের চেয়েও এই ভোট খারাপ ছিল। তাঁর অভিযোগের অনেক স্থানে তিনি এই ভোটকে ‘পুলিশের ভোট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অন্যত্র তিনি লিখেছেন, আমার একটি কেন্দ্রেও আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারে নাই। সব কেন্দ্রে পুলিশ নিজে ভোট দিয়েছে। পুলিশ কর্মীদেরকে মারধর করেছে। বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করেছে। কর্মীরা ঘরে থাকতে পারে নাই। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেজর আক্তার বলেছেন, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা আমার নির্বাচনী ঘরোয়া বৈঠকে সরাসরি আমাকে ও আমার ছেলেকে আক্রমণ করে আমাদের উভয়কে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। শুধু হামলা করেই ওরা ক্ষান্ত হয় নাই। গত দুই দিনে ও রাতে এলাকার কয়েকশ নিরিহ নিরাপরাধ গ্রামবাসীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার পুলিশ অন্যায়ভাবে যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখানেই গ্রেফতার করে যাচ্ছে।
দুই
অবাক করার মতো ব্যাপার হলো এই যে, এই সংসদে কোনো বিরোধী দল নাই। জাতীয় পার্টির ২২ জন সদস্য মহাজোটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় রওশন এরশাদ, জিএম কাদের এবং মশিউর রহমান রাঙ্গা দাবি করেছিলেন যে, তারা মহাজোটের পার্টনার হিসেবে বিগত ৫ বছর এই সরকারের সাথে কাজ করেছেন এবং এই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এবারও তারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের মিত্র হিসেবে ইলেকশন করেছেন। তাই তারা এবারেও সরকারে অংশগ্রহণ করতে চান এবং মন্ত্রী হতে চান। জাতীয় পার্টির এই সিদ্ধান্ত শাসক দলকে অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। কারণ দেশে একটি সরকার থাকবে, অথচ কোনো বিরোধী দল থাকবে না, সেটা বিশ্ববাসীর সামনে কেমন দেখায়? আমার তাই ধারণা, এই পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দল হস্তক্ষেপ করে। তারই পরিণতিতে গত ৪ জানুয়ারি শুক্রবার জেনারেল এরশাদ নিজের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছেন যে, জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে কাজ করবে এবং তারা মন্ত্রিসভায় যোগদান করবে না। এরশাদ নিজে হবেন পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দলের নেতা এবং তার ভাই জিএম কাদের হবেন প্রধান বিরোধী দলের উপনেতা।
গত ৬ জানুয়ারি রবিবার ইংরেজি ডেইলি স্টারে প্রথম পৃষ্ঠায় একটি খবর বেরিয়েছে। খবরটির শিরোনাম, ‘Voting for Sheaf of Paddy/
A village under siege’. অর্থাৎ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য আস্ত একটি গ্রাম অবরুদ্ধ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার কলমা নামক গ্রামের ১৯০৯ জন ভোট দিয়েছেন। তার মধ্যে ১২৪৯ জন ভোট দিয়েছেন ধানের শীষে। এজন্য সেই গ্রামটিকে ঘেরাও করে আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহীরা গ্রামবাসীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, রোববার নির্বাচনের পরদিন সোমবার সকালেই আওয়ামী লীগের লোকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়।
এভাবে অবস্থান নিয়ে তারা বাস থেকে নিয়ে রিকশা, এমনকি সাইকেল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ করে। শুধু তাই নয়, তারা গ্রামের গভীর নলকূপটি দখলে নেয়, যা ব্যবহৃত হয় চাষাবাদের জন্য। এর সঙ্গে তারা বন্ধ করে বাড়িতে বাড়িতে থাকা স্যাটেলাইট টেলিভিশন যোগাযোগ। লোকজনকে তারা বাড়ি থেকে বের হতে না দিয়ে ঘরে ঘরে আটক রাখে। স্থানীয় লোকরা এজন্য মূলত দায়ী করে স্থানীয় কলমা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যানকে। বিএনপির ভোট দাতাদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান ঢালাও প্রতিশোধের ব্যবস্থা করেন, যার থেকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন লোকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকা সত্তে¡ও পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকে। এসব কারো মনগড়া কাহিনী নয়। ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকা তাদের রিপোর্টার আনোয়ার আলীর নাম দিয়ে রিপোর্টটি ছেপেছে। অর্থাৎ রিপোর্টটির পুরো দায় দায়িত্ব তারা নিয়েছে।
এ খবরের পর কামাল হোসেনের নতুন করে সংলাপের প্রস্তাব কি আর হালে পানি পাবে?
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (19)
Mohammed ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
মির্জা ফখরুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবার সংলাপে অবশ্যই ‘নির্বাচন বাতিলের’ বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে থাকতে হবে।এজেন্ডা জানলে সংলাপে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করবেন। আরে বাব্বা, এ দেখি এক নিধিরাম সর্দার - ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, আছে শুধু কথার এটম বোম !
Total Reply(0)
abir ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
এরা রাজনীতিবিদ, না কৌতুক অভিনেতা ? সে যাহোক, বিনোদনে অদ্বিতীয় !
Total Reply(0)
ABUSALEH ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
কামাল সাহেব আশাবাদী মানুষ কিন্তু বাস্তবতা বলে এসব বালির বাঁধ।
Total Reply(0)
Nadeem Nawaz ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন চাই। যদিও তা বাস্তব হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নাই ।
Total Reply(0)
Riyadh Man ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
Don't worry just kidding joking about that awesome hasina
Total Reply(0)
Sky Lark ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রীতি ভোজের আয়োজন, প্রথমে পুলিশ প্রশাসন কে কারন তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছে আর এখন রাজনৈতিক সব দলকে, এই ফাকে দালাল মিডিয়া গুলি ফলাও ভাবে প্রচার করবে, রাজনৈতিক কোন্দল ভুলে গিয়ে নির্বাচন পরবর্তী প্রীতি ভোজে সকল রাজনৈতিক দলের যোগ দান ।
Total Reply(0)
Gautam Roy ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে গেলে বি সি এস এর সিলেবাসটা কমপ্লিট করে যাইতে হবে।সংলাপ হোক আর ঝগরাঝাটি হোক তার সামনে সবাই ধইন্চা হইয়া যায়।শেষে পোলাও মাংস,কাবাব, আরও কতকি খাওয়াইয়া পাঠাই দেয়। ড:কামাল কাকুর মনে হয় আবার জিভে জল আসছে।
Total Reply(0)
Abdul Kuddus ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
সামনে আসছে উপজেলা নির্বাচন শেই নির্বাচনে বিএন পি ও ঔক্যফ্রন্ট কে আনতে পারলে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট চুরির নির্বাচন কে বৈধতা নেয়ার নয়া ফন্দি একেছে আওমী ভোট চোরে রা
Total Reply(0)
Real Ripon ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
হাসিনা একটা সংলাপের আয়োজন করে সারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় ,দেখুন আমি সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে দেশ গঠনে তথা দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার আহ্বান এ কেউ কেউ সাড়া দিয়েছে কেউ কেউ সাড়া দেয়নি l তারা দেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না lতারা দেশের শত্রুl এটা বহির্বিশ্বে তাকে ফলো আপ করার জন্য সে নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে l যারা সচেতন মানুষ তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন হাসিনার চালাকি lসে কি করতে চাচ্ছে এবং কি করতে চলেছেl নির্বাচনের আগেও যেরকম সংলাপ হয়েছিল এবং সংলাপের ওয়াদা হাসিনা বরখেলাপ করেছিল একইভাবে এই নির্বাচনের পরে সংলাপেও এক ধরনের চালাকি সে করবেl সংলাপ খালি লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়l
Total Reply(0)
আশরিফা আশরিফা আশরিফা ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
উদার মনা কামাল ঐক্যফ্রন্ট প্রধান আবার আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বিএনপি ভেবেছিলো যাক বিশ্ব এবার আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? ভোট শেষ বিশ্ব চুপ বিএনপিও চুপ বাহ কি চমৎকার!! আসল কথা হলো হাসিনার বাবা শেখ মুজিবো ঐক্যফ্রন্ট প্রধান হলেও হাসিনা তাকে অঝোরা বাঁশ দিতো। হাসিনার বাপ ক্ষমতায় থাকার জন্য গড়েছিলো রক্ষি বাহিনী আর হাসিনা বর্তমান পুলিশ বাহিনীকেই বানিয়েছে রক্ষিবাহিনী। রক্ষিবাহিনীর কাজ ছিলো বিরোধীদের খুজে হত্যা গুম করা বর্তমান পুলিশ তাই করছে। অথচ এমন অবস্থায় বিএনপি আশা করছে উদার প্রগতিশীল কামাল তাদের ক্ষমতায় বসাবে! বাচ্চারাও বুঝতেছে রাজাকার টাজাকার কিচ্ছুনা হাসিনার প্রান থাকতে ক্ষমতা ছারবেনা।কেবল বুঝতেছেনা বিএনপির ভোগ বিলাস প্রিয় অলস মার্কা আবাল নেতারা!!!
Total Reply(0)
Habibur Rahman ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
নির্বাচনের আগেও তো সংলাপ হয়েছে তাতে কি লাভ হল ঘরে ফিরে ভোট ডাকাতি হয়েছে এই বার বলবে আমি সবাই কে ডেকেছি তারা না এসে ধংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছে
Total Reply(0)
Salman Ar Rahman ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
সংলাপের পর কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন মনে হচ্ছে।।। শেখ হাসিনার সাথে মনে হয় জ্বীন আছে। তার সামনে গেলে সবাই কেমন জানি ধইঞ্চা হইয়া যায়। সংলাপ পরবর্তী নাটকের অপেক্ষায় থাকলাম।।
Total Reply(0)
Julekha Khanom ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
নির্বাচনের আগের সংলাপে আপনাদেরকে কথা দেয়া হয়ছিলো, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অযথা হয়রানি করা হবে না, তাঁদের নামে গায়েবী মামলা দেয়া হবে না। কিন্তু মিথ্যাবাদী কী তার কথা রেখেছে? তাহলে আবার সেই একই মিথ্যাবাদীর সাথে সংলাপের নামে তামাশা কেনো?! ওসব সংলাপে কোনো লাভ হবে না; বরং একজোট হয়ে টেনেহিঁচড়ে নামানোর ব্যবস্থা করুন
Total Reply(0)
Barun Malakar ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
হাসিনার ও কামাল এর অতীত যারা জানেন তারাই শুধূ বুঝবেন "নির্বাচন" নামক নাটকের রচনা ও প্রযোজনা কেন এবং কে করেছিল? নির্বাচন অন্ধদের জন্য এই পোস্ট নয়।
Total Reply(0)
Arshad Samir ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
এক সংলাপের মাধ্যমে ধোঁকা দিয়ে ডাকাতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আর এক সংলাপ দেখিয়ে পাঁচ বছর ক্ষমতা পাকা করার কাজ করতে চায় সরকার। যদি ও সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধান উচিত , কিন্তু , এই সরকার সংলাপের দেওয়া কথা রাখেনি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই । আর এটা সকল রাজনৈতিক দলের ও দেশের জন্য ভালো।
Total Reply(0)
Md Harunour Md Harunour ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, তাহলে ঐক্যপন্ট কে কেন ডাকেন? তার মানি জাতীয় পার্টি নামের উপর ছলে। আপনার তাদের কে পুতুল বানিয়ে রাখছেন। এখন সংলাপ হবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে। এইটা রসিকতা আলাপ। ঐটা আপনার নিয়ে জাবেন, জনগণের ভোটের দরকার নেই।
Total Reply(0)
Aminul Haque Jahad ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
সংলাপে আলোচ্য বিষয় হতে পারে! রাত্রি কি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছ? কয় দিন গোসল করনাই? শিত কি আগের মত আছে না কম? বুড়ু বয়সে কি করেন? ডাক্তার কি দেখাইছেন? কি কি ঔষধ দিল? সব কি কিনছেন? দাদু কেমন আছেন? ইত্যাদি
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
ভয়াবহ ও প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন দেখেছি। অন্তত ৯৫ ভাগ কেন্দ্রেই রাতে ৩০-৫০ ভাগ ভোট সিল মেরে রাখা হয়েছিল। এরপরেও দিনভর সিল মেরে, জালভোট দিয়ে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। সরকার বৈধতা চাচ্ছে। বিরোধী দলের দাবী যৌক্তিক যে, তারা নির্বাচন বাতিলের শর্তেই সংলাপে অংশ নিবে। সংলাপ অর্থহীন, সমাধানের কোনরূপ পথ নয় বলেই আমরা দেখেছি। ঐক্যফ্রন্ট আগের সংলাপে প্রতারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েও রাখেনি। আন্দোলনই মুক্তি আনতে পারবে।
Total Reply(0)
Nazmul Kabir ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে, যার অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো; সারা বিশ্বের সবাই দেখেছে কতটা অযোগ্য এই নির্বাচন কমিশন। তাদের কোনো যোগ্যতাই নেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার। সুতরাং তাদের অধীনে নির্বাচন করার কোনো প্রশ্নই নেই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন