শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সিলেটে ঘুরে দাঁড়ালো বিএনপি আওয়ামী লীগে হতাশা

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফয়সাল আমীন ও খলিলুর রহমান, সিলেট থেকে

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় সিলেট বিএনপি ভরাডুবি হলেও গত ৭ মে শনিবার অনুষ্ঠিতব্য ৪র্থ দফা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ এ তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপি ৯টি বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাশীন আ.লীগ ৭টি ইউনিয়নে বিজয় লাভ করেছে। এছাড়াও বাকি ইউনিয়নগুলোতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে তিন উপজেলায় আ.লীগের এমন ভরাডুবি হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই এ পরাজয়ে প্রধান কারণ হিসেবে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়েছে বলে মনে করেন। তাছাড়া দলীয় কোন্দল এবং সরকারের প্রতি ক্ষোভের কারণেও স্থানীয় নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেন মনে করেন অনেকে। জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সিলেট জেলার ২৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয় গত শনিবার। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৩ উপজেলার মধ্যে একমাত্র বিশ্বনাথে বিএনপির সমান সংখ্যক জয় পেয়েছে আ.লীগ। এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপি ও আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৩টি করে ইউনিয়নে। অপর দুই ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দু’দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) দু’প্রার্থী। বিশ্বনাথে বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন- বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছয়ফুল হক (আনারস), দৌলতপুরে আ.লীগের আমির আলী (নৌকা), অলংকারীতে স্বতন্ত্র (বিএনপির বিদ্রোহী) নাজমুল ইসলাম রুহেল (চশমা), রামপাশায় আ.লীগের অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন (নৌকা), খাজাঞ্চিতে বিএনপির গিয়াস উদ্দিন (ধান) ও লামাকাজীতে ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী কবির হোসেন ধলা মিয়া। দক্ষিণ সুরমার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এছাড়া ২টিতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং অপর ২টি জামায়াত সমর্থিত দু’জন জয়ী হয়েছেন। বিএনপির বিজয়ীরা হলেন- কুচাই ইউনিয়নে আবুল কালাম, বরইকান্দি ইউনিয়নে হাবিব হোসেন ও দাউদপুর ইউনিয়নে এইচএম খলিল বিজয়ী হয়েছেন। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সিলামে ইকরাম হোসেন বকস ও মোগলাবাজার ফখরুল ইসলাম সাইস্তা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জালালপুর ইউনিয়নে সুলাইমান হোসেন ও লালাবাজারে পীর মো. ফয়জুল হক বিজয়ী হয়েছেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ৪টিতে, আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ৩টিতে, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী ১টিতে, ২টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ১টিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে বিজয়ীরা হলেন- বাদেপাশা ইউনিয়নে মোস্তাক আহমদ, শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে এম এ মুমিত হীরা। আ.লীগের বিদ্রোহীদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন- লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে কবির আহমদ মুশন ও বুধবারীবাজার ইউনিয়নে কামাল উদ্দিন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন- লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে নসিরুল হক শাহীন, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে জিলাল উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আশফাক আহমদ চৌধুরী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নে মাহবুবুল আলম। এছাড়াও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নে রুহেল আহমদ, বাঘা ইউনিয়নে ছানা মিয়া ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুর রহিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন