সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেকরির চর গ্রামের গৃহকর্মী রুজিনা আক্তারের শরীর গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছে ঢাকা সাভারের গৃহকর্ত্রী। রুজিনা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। জানা গেছে, সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে রুজিনা গত ৮ মাস আগে সাভার পৌরসভার কর্মচারী রুবেল মিয়ার বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে যোগ দেয়। রুবেল ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ২ জনেই চাকরিজীবী হওয়ায় রুজিনাকে বাড়িতে দরজা-জানাল বন্ধ করে তালা দিয়ে রেখে অফিসে যেতেন। বন্ধ ঘরে থাকতে রুজিনা হাঁফিয়ে উঠেছিল। তাই সে ওই বাড়িতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শাহনাজ কাজের মেয়ের উপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত ৬ মে রুজিনা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে চাইলে গৃহকর্ত্রী শাহনাজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে রুজিনা শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে বাড়িতেই তার চিকিৎসার দেয়ার চেষ্টা করে গৃহকর্ত্রী। কিন্তু মেয়েটি যন্ত্রণায় চিৎকার ও ছটফট করতে থাকলে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ঢুকে শরীর ঝলসানো অবস্থায় রুজিনাকে উদ্ধার করে ওই এলাকায় কর্মরত তার আত্মীয়-স্বজনদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু রুবেল স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় রুজিনার আত্মীয়স্বজনরা সেখানে চিকিৎসা করাতে সাহস না পেয়ে গত গত ৭ মে গাইবান্ধায় নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের লোকজন গত ৮ মে গাইবান্ধা সদর আনুধিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রুজিনাকে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে রুজিনার বাবা রফিকুল ইসলাম গত সোমবার সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ঘটনাটি সাভার থানার অধীনে হওয়ায় তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেননি। তবে এজাহার পত্রটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাভার থানায় পাঠিয়ে দেন। সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসরাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এজাহার পত্রটি সাভার থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন