ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মানিকা গ্রামে বিভিন্ন সবজী চাষ করে শূণ্য থেকে বর্গাচাষী রেশাদ আলী অভাবকে দূর করে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সবজী চাষ নিয়ে কথা বলেন রেশাদ আলী। তিনি মনে করেন, কঠোর পরিশ্রম মানুষের ভাগ্য বদলে দেয়। রেশাদ আলী জমি বর্গা নিয়ে এ বছর প্রথমে ৫৬ শতাংশ জমিতে মল্লিকা জাতের রেখা চাষ করেছেন। এতে সব মিলিয়ে তার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১ লাখ টাকার রেখা বিক্রি করেছেন। ওই জমিতে রেখা ওঠার পর শ্রাবন্তী জাতের লাউ চাষ করেন। খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি নেমেছে ৯৫ হাজার টাকা। লাউ খেতের বিপরীত দিকে ২৪ শতাংশ জমিতে কাতলা জাতের শিম চাষ করেছেন। মূলধন ছিল ১২ হাজার টাকা। ৩০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। খেতে এখনও শিম আছে। শিম খেতের পাশেই ৩২ শতাংশ জমিতে ¯েœা-হোয়াইট জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা।
রেশাদ আলী জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে সবজি চাষের উপর বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাছাড়া ওই এলাকার দ্বায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন তাকে পরামর্শের পাশাপাশি নতুন কোন সবজীর জাত এলে তা চাষ করতে উদ্ধুদ্ধ করেন।
বোরহানউদ্দিন আলিয়া মাদ্রাসা সড়কের দুই পাশে লাউ, শিম, কপি আর বিস্তৃত আলু খেত দেখে যে কারো চোঁখ জুড়িয়ে যাবে। পথচারী সহ শিক্ষার্থীদের খেতে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেছে।
আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবি আহমদ উল্যাহ আনসারী বলেন, রেশাদ আলী ও তার ভাইদের সবজী এ এলাকাকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। মনে হয় চিরায়ত বাংলার সবাক ছবি। সবজী চাষী রেশাদ আলী তার সাফল্যের কথা জানাতে গিয়ে বলেন,আমি দরিদ্র কৃষক বাবার সন্তান। পরিবারের ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে আমি সেঝো। আমার ভাইরা সবাই কৃষিকাজ করে। ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, রেশাদ আলী অত্যন্ত পরিশ্রমী। সে আমাদের পরামর্শ-উপদেশ যথাযথভাবে পালন করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান,রেশাদ আলী বোরহানউদ্দিনের সবজী চাষীদের মধ্যে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন