দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলার ২০ টি পয়েন্টে ক্রেশার পাওয়ার মেশিন বসিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে গুড়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রতি মৌসুমে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে আখ সংগ্রহ করে স্থানীয়ভাবে গুড় তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। এর কারণে সুগার মিল চিনি উৎপাদনের জন্য আখ পাচ্ছে না। এদিকে আখ চাষীদের অভিযোগ অতি কষ্টে আখ চাষ করে বিক্রি করতে গিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। আখ ক্রয় করলেও যথাসময়ে বিক্রয়ের টাকা পরিশোধ করে না। বাধ্য হয়েই আখ চাষীরা গুড় মাড়াই ফড়িয়াদের নিকট নগদ অর্থে বিক্রি করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুড় মাড়াইয়ের স্থানে একদিকে বসানো হয়েছে মাটির চাড়ী। সেখানে মশা-মাছি পড়ে রসগুলো খাবার অনুপযোগী হয়ে বিকৃত অবস্থায় জমা হচ্ছে। আর ওই জমা করা রস পাশে খোলা আকাশের নীচে বড় চুলা তৈরি করে টিনের পাত্রে জাল করতে থাকে রসগুলো।
এভাবেই তৈরি হচ্ছে গুড়। উপজেলার কপালদাড়া, বিনোদনগরসহ অন্তত ৫০টি স্পটে পাওয়ারক্রেশার মাধ্যমে গুড় মাড়াই করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান জয়পুরহাট সুগার মিল লিমিডেট জোন এলাকায় ক্রেশার পাওয়ারে আখ মাড়াই বন্ধ করার জন্য আখ চাষিদের জ্ঞাতার্থে উপজেলায় প্রচার করেছে। প্রচারের পরও যদি কেউ আখ মাড়াই করে, পরবর্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে চরকাই সাব জোন অফিসের ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র বিনোদনগরের ইক্ষু ক্রয় সহকারি মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে যারা আখ মাড়াই করছে তাদের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরনও করা হয়েছে। এখন জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ বিক্রয় করলে যথা সময়ে বিক্রয় লভ্য কৃষককে প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন