সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকার ট্যানারির বজ্য দিয়ে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রায় ৫ হাজার টন ট্যানারী বর্জ্য আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ৮ জন কর্মচারীকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৪ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এবিষয়ে র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ওই কারখানাগুলোর মালিক ও জমির মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া আটক ৮জনের মধ্যে ২জনকে এক বছর করে কারাদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে জেল দেয়া হয়েছে। অন্য ৬ জনকে এক মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
চামড়ার বর্জ্যে ক্রোমিয়ামসহ ভারী ধাতু বিষাক্ত মাত্রায় বিদ্যমান। যে কারণে এসব ব্যবহৃত পোল্ট্রি খাবার খুবই ক্ষতিকর। এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। হতে পারে ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক ব্যাধি।
সাভার উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ডা. শহিদুল্লাহ কায়সার জানান, মোগড়াকান্দা এলাকার মাঠের মধ্যে পাশাপাশি তিনটি কারখানা গড়ে উঠেছে। তারা ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলো।
তবে অভিযানের উপস্থিতি চেরে পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। কারখানার ক্রাশিং মেশিনসহ প্রায় ৫হাজার টন ট্যানারী বর্জ্য ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
অভিযানে ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বী মন্ডল, ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানসহ র্যাব-৪ এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন