মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের বন্দর তেমাথা সংলগ্ন দীর্ঘদিনের পুরনো পরিত্যক্ত দ্বিতল ভূমি অফিসটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দাঁড়িয়ে আছে। যে কোন মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বিরাজ করছে। উপজেলার বন্দর তেমাথা এলাকায় নাগর নদীর কোল ঘেঁষে পুরাতন দ্বিতল পরিত্যক্ত ভূমি অফিসটি দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবন। আশি দশকের প্রথম দিকে ভবনটি উপজেলা ভূমি অফিস ও পরে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গণপূর্ত বিভাগ অনেক পূর্বেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। তারপরও নানা সমস্যা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মাঝেই সদর ইউনিয়ন তহশিল অফিস হিসেবে ভবনটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে ভবন সংলগ্ন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে নতুন ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মিত হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ওই ইউনিয়ন তহশিল অফিসটি নির্মিত হওয়ায় প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলতে থাকে। অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করে ২ বছর পর নির্মিত নতুন ভবনটিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিনের পুরনো ওই দ্বিতল পরিত্যক্ত ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনটির ছাদের প্লাস্টার উঠে লোহার রডগুলো কঙ্কালের মতো বেড়িয়ে রয়েছে। সামনের বারান্দার পিলার ভেঙে গেছে। ভবনের দেয়ালে গাছের জন্মও হয়েছে। গাছগুলো বড় হয়ে ডালপালা বিস্তার করে ভবনটিকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের পার্শ্বে দিয়েই উপজেলা পোস্ট অফিস ও কাঁচা বাজার অভিমুখে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলে গেছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজন বিভিন্ন যানবাহন সহ চলাচল করে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বিরাজ করছে। এছাড়াও ওই পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতলায় একশ্রেণীর নেশাগ্রস্ত যুবক নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যায় সুযোগ পেলেই ওই ভবনে বসে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য নিরাপদে সেবন করছে। জনসম্মুখে এমন দৃশ্য অনেকেই প্রত্যক্ষ করলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। একই সাথে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পুরনো ভূমি অফিস ভবনটি পড়ে থাকলেও প্রশাসনেরও কোনো নজর নেই। এলাকার সচেতন মহল পরিত্যক্ত ভবনটি ধসে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরিভিত্তিতে ভবনটি সরকারি নিয়মানুসারে ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন