পাবনার চাটমোহরে আবু সামা ও ইউসুফ আলী নামের দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের সরকারি আরসিএন্ড এন্ড বিএসএন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত এক কিশোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। আহতরা হলেন, পৌর শহরের মধ্যমালিকা গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে আবু সামা (২৬) ও ইউসুফ আলী (২৫)। আটক কিশোর বালুচর মহল্লার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে ইয়াছিন মোল্লা শান্ত। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলে বিদায় ও নবীণ বরণ অনুষ্ঠান চলছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছিল আবু সামা ও ইউসুফ। এ সময় শান্ত’র নেতৃত্বে বহিরাগত বেশ কয়েকজন উশৃংখল যুবক তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং ধারালো ক্ষুর ও চাকু দিয়ে দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপরদিকে ধাওয়া দিয়ে অভিযুক্ত শান্তকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এমন ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আহত দুই যুবককে হাসপাতালে দেখতে যান সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) ফজল-ই খুদা পলাশ, চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান আতিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মির্জা। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়ে সরকারী আরসিএন্ড এন্ড বিএসএন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সবিজুর রহমান জানান, আহত দুই যুবকের শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শান্তকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং আহত দুই যুবককে পাবনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন