রেবা রহমান, যশোর থেকে : যশোর অঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন হলুদের বিছানা। সে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাঠ ঘুরে দেখা গেছে চলতি মৌসুমে তুলনামূলকভাবে সরিষার আবাদ বেশী হয়েছে। উৎপাদরও ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। যশোরের বারীনগরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সরিষা চাষী লিয়াকত হোসেন জানালেন, ধান ও পাটের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজিতে খুব বেশী লাভ হয়নি। বাজারে সরিষা তেলের চাহিদা বেশী, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। সেজন্য চাষিরা সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এসব কারণের সাথে একমত কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও। তাদেরও হিসাব এবার যশোর অঞ্চলে সরিষার আবাদ বেশী হয়েছে। তবে সবারই কথা, কৃষক যাতে উপযুক্ত মূল্য পান তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। তা না হলে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যশোরে অবস্থিত আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় যশোর জেলায়। এজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫৬ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিযেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠের চেহারায় তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এখন বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার ফুল সবার দৃষ্টি কাড়ছে। মৌমাছি মধু সংগ্রহ করছে সরিষা ফুল থেকে। বাজারে সরিষা মধুর চাহিদা ও দাম বেশি। আবার সরিষা শাকেরও ব্যাপক চাহিদা। সরিষা চাষীরা জানিয়েছেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে মাঠ থেকে সরিষা কর্তন শুরু হবে। সরিষার পরিচর্যা চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষীরা সুন্দরভাবে মাঠ থেকে সরিষা ঘরে তুলতে পারবে। তদের দাবী উপযুক্ত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা। যশোরের বাঘারপাড়া, কেশবপুর, মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার বিভিন্ন মাঠের চারদিকে সবজিসহ অন্যান্য ফসলের সাথে হলুদ ফুলের সরিষা মাঠের চেহারা পাল্টে দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন