সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

স্কুল দখল করে বসতবাড়ি!

সিংড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১১ এএম

নাটোরের সিংড়ায় জোরপূর্বক দখল করে নেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার দামকুড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোরপূর্বক দখল করে নেওযায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। প্রভাবশালী মহলের চাপে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা ।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে ৬ জন দাতা সদস্য স্কুল করতে ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। এরমধ্যে দাতা হারান মোল্লা স্কুলটি নিজের নামে করতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিছু দিন পর হারান মোল্লা মারা যান। ২০১০ সালে হারান মোল্লার ছেলে ওবায়দুর রহমান জোরপূর্বক স্কুলটি দখল করে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ওবায়দুর রহমান এলাকায় প্রভাবশালী হওযায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। প্রভাবশালী মহলের চাপে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ জানান, স্কুলটি দীর্ঘদিনের গ্রামবাসীর দাবি। কিন্তু একটি মহল স্কুলের ভবিষ্যৎ নষ্টের পায়তারা করছেন। তিনি বলেন, দাতা সদস্য হারান মোল্লা দায়ের করা মামলায় সরকার পক্ষ ডিগ্রি পায়। পরে হারানের ছেলে ওবায়দুর পুনরায় মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। ১৯৯৩ সালে স্কুল ভবন নির্মাণ হলেও আইনি জটিলতা এবং অবৈধ দখলদারদের কারণে স্কুলটি দখলমুক্ত হয়নি। ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র মহসিন সরদার, জিয়ারুল ইসলাম, মতিজান, রোজিনাসহ অনেকেই বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর আমরা ক্লাস করেছি। সরকার থেকে ভবন করে দিয়েছে। ভবন এখনো রয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকায় ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। বর্তমানে ওবায়দুর রহমান পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। সাবেক পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, স্কুলটি গ্রামের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। কারণ এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দূর দূরান্তে গিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে হয়। স্কুলের শিক্ষিকা শিউলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে স্কুলটি পরিচালনা হয়ে আসছে। সম্প্রতি স্কুলের দাতা সদস্যর ছেলে জোরপূর্বক স্কুল দখল করে নেওযায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় মসজিদের এবতেদায়ী শাখায় ক্লাস করছে। এমন পরিস্থিতির কারণে কেউ কেউ অন্যত্র ক্লাস করছে। ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না। গতবার ৫ম শ্রেনীর সমাপনি পরীক্ষায় ৫জন পাশ করে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে।

স্কুল দখলকারী ওবায়দুর রহমান স্কুলের জায়গা নিজের জায়গা দাবি করে বলেন, মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে, আমার ছেলে লেখাপড়া করছে, তাকে স্কুলে চাকরি দেয়া হলে বিষয়টি সমাধান করে দিব।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান জানান, স্কুলের ভবন দখল হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম নেই। গতবারও বই দেয়া হয়েছিলো। বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমায় তাই বেশী কিছু বলতে পারব না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন