সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাউজানে মাছ চাষে সফলতা

রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে এম বেলাল উদ্দিন | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

রাউজান উপজেলায় মাছ চাষ করে এখন অনেকেই সফল। এক সময় দেশি ও প্রজেক্ট চাষ করা মাছের অকাল ছিল। সাগরের মাছ ছাড়া দেশীয় মাছের অভাব অনুভব হত সর্বত্রে। খাল-বিলের মাছ দিয়ে এক সময় জেলেরা জীবন নির্বাহ করতো। এখন সে বিলে খালের দেশীয় সুস্বাদু মাছ তেমন একটি পাওয়া যায় না। বিলের কই, মাগুর, শৈল, বোয়াল, পুটি, শিং, ট্যাংরা, পূঁই, গুইলদা, টাকি, বাসসহ বিভিন্ন দেশিয় মাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। কালের পরিক্রমায় বর্তমান নতুন প্রজন্মরা বিল খালের মাছগুলো খাওয়াতো দূরের কথা নামও শুনেনি অনেকেই। বর্তমান সময়ে মাছের বড় বড় প্রজেক্ট করে মাছ সরবরাহ হচ্ছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। মাছ চাষে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে এটিকে বাংলাদেশের বড় শিল্পে পরিনত করা হয়েছে। মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিটি জেলা উপজেলায় ব্যাক্তি ও যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের মাছের চাষ। তেমনি রাউজান সদর থেকে প্রায় ১৪/১৫ কি.মি. উত্তরে পূর্বে হলদিয়া ও ডাবুয়ার সীমান্ত এলাকায় ডাবুয়া রাবার বাগান ঘেষে হযরত দলিল শাহ (রহঃ) আস্তানা ঠিলার পূর্ব-দক্ষিনে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল মাছের প্রজেক্ট।

সরেজমিন জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ১৪৮০ শতক (প্রায় ১৫ একর) জায়গায় এ বিশাল মাছের প্রজেক্ট তৈরী করেন রাউজান পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের ছত্তর পাড়ার ৫৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ বাঁচা মিয়া প্রকাশ বাঁচা সওদাগর, ৩৪ বছর বয়সী চিকদাইর ইউপির নোয়াইত্তের বাড়ীর মুহাম্মদ সেলিম ও ৩৭ বছর বয়সী হলদিয়া ইউপির ফকিরটিলা এলাকার মুহাম্মদ খালেক। এলাকায় গেলে বাঁচা সওদাগর জানান, ২০১৪ সালে আমরা তিনজনে মিলে ছিটিয়াপাড়া এলাকার মুহাম্মদ আলী আজমের মালিকানা সাড়ে ২৩ খানি ও মাওলানা হাজী ইউসুফের সাড়ে ১৩ খানি জায়গা ১০ বছরের জন্য ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে মাছ চাষের চুক্তিবদ্ধ করি। এরপর মাছের প্রজেক্টটিকে মাটি কাটা থেকে শুরু করে দু-দিকে বড় মাটির দেওয়াল সহ নানাবিদ প্রজেক্ট উপযোগী করতে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে মাছের চাষ শুরু করি। প্রথম দাফে ১০ লক্ষ টাকার মাছের পোনা দিয়ে চাষ শুরু করেন তারা ৩ জন। জানাগেছে বাঁচা সওদাগর ৩০ লক্ষ, খালেক ৩০ লক্ষ ও সেলিম ১০ লক্ষ করে মাছের প্রজেক্টেরর জন্য নগদ প্রদান করে সম্পুর্ণ ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিদিন ৩ জন শ্রমিক কাজ করেন মাসিক সাড়ে ১০ হাজার টাকা বেতনের মাধ্যমে প্রজেক্টে। নতুন প্রজেক্ট করার ৬ মাস পর থেকে নালিটিকা (তেলাপিয়া) দিয়ে বিক্রি শুরু করেন তারা।
জানা যায়, বিশাল প্রজেক্টে মাছের খাদ্য বাবদ দৈনিক গুণতে হয় ৫০ হাজার টাকা। রুই, কাতলা, মৃগাল, কালি বাউস, চিতল, তেলাপিয়া, নাইলাটিয়া মাছ চাষ হয় এ প্রজেক্টে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর বড় জাল দিয়ে তোলা হয় মাছ। এটি ধারাবাহিক ৪ দিন তুলে নিয়ে যান পাইকারী বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে বিজ্ঞ মহল মনে করেন এ প্রজক্টিতে সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করলে এটি হবে রাউজানের অন্যতম মাছ উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন