বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
নেত্রকোনার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী রুমা আক্তারের (২৩) অস্বাভাবিক মৃত্যু, এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা তা নিয়ে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের পুত্র কুমড়ী বাজারের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের সাথে কয়েক বছর আগে পার্শ্ববর্তী মৌগাতি ইউনিয়নের গর্দি কাঞ্চনপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বউয়ের সাথে শাশুড়ির মিল না হওয়ায় তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। শাশুড়ি প্রায় সময়েই বিভিন্ন অজুহাতে বউকে তির্যক বাক্য বানে জর্জরিত করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে রুমা কিছুদিন আগে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। স্বামী রহমান বুঝিয়ে শুনিয়ে কয়েক দিন আগে রুমাকে নিজের বাড়ীতে নিয়ে আসে। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জামাই আব্দুর রহমান তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলামকে ফোন করে বলেন যে, তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মেঝেতে তার মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে তার মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ফেলে রেখেই লোকজন পালিয়ে গেছে। মৃত রুমার বাবা সিরাজুল ইসলামের অভিযোগ শাশুড়ি তার মেয়েকে দেখতে পারত না। তারা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন