দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় উন্নত জাতের আম বাগানে এসেছে আগাম মুকুল। বাগান ঘিরে মৌ মৌ গন্ধ আর বাগানগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মত। উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাপাইনবাবগঞ্জ-এর পরে ধান উৎপাদনের জেলায় এখন আমও উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর পরিমানে। এলাকার কৃষকেরা কৃষি জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ফলাচ্ছে আম। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে আম দেশের খোদ রাজধানীসহ বিভিন্ন উপজেলায় নবাবগঞ্জের উৎপাদিত আম বিক্রি হয়। উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের বন বিভাগের অধিনে ন্যস্ত থাকা দারগার আম বাগান গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রফিকুলের আম বাগানসহ ২ হাজার বাগানি এবার চাষ করছে আম। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ছোট-বড় গাছগুলোতে এসেছে আগাম মুকুল। মুকুলগুলো আমের গুটি হওয়ার আগেই পরিচর্যা কাজ করছেন বাগান মালিকেরা। কোন ভিটামিন ওষুধ স্প্রে করলে আম উৎপাদন ভাল হবে সে বিষয় মাথায় নিয়ে বাগানীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ইতোমধ্যেই দেশের তৃতীয় ফল উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড নবাবগঞ্জে মাহমুদপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জানান এ অঞ্চলের আম মানসম্মতভাবে উৎপাদন করে বিদেশে যেন পাঠানো সম্ভব হয়, এ লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় চাপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্র থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এনে আম বাগান মালিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু গত বছরের গাছে গাছে প্রচুর মুকুল ও ব্যগিং পদ্ধতিতে আম প্রসেসিং করা হয়েছিল। এ বছরে আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ভাল হলে বিদেশে পাঠানো সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন