মাগুরা শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম চোখে পড়েছে তদারকি কমিটির। জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদারকি কমিটির সদস্যবৃন্দ গত বুধবার সারাদিন ধরে ১১ কিলোমিটার খনন কাজ পরিদর্শন করেন। বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে তদারকি কমিটি এ খনন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খান মুজাহেদী, মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তদারকি কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মাহবুবুর রহমান জানান, তিনিসহ কমিটির সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীর খনন এলাকার একাধিক স্থান পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সরেজমিনে নদীর কিছুস্থানের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলেও পারনান্দুয়ালী, পাইকেলসহ অধিকাংশ স্থানে দেখা গেছে নদীর মাটি কেটে নদীর মাঝেই ফেলা হচ্ছে। ফলে নদী আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়া ও দখলের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এসব স্থানে নদীর নব্যতা সৃষ্টিতে খনন কাজে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। এ সময় নদীর ভেতর থেকে মাটি কেটে সে মাটি নদী থেকে দুরে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নদীর নব্যতা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নদীর যেসব স্থানে ৩শ ফিট প্রশস্ততা আছে। সে স্থানগুলির প্রশস্ততা ঠিক রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। নদীর মাঝে মাটি ফেললে নদীর নব্যতা হারানোসহ নদী দখলের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সেইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনগণকে খনন কাজ তদারকির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মাগুরা শহর থেকে সদরের আলোকদিয়া পর্যন্ত নবগঙ্গা নদীর প্রায় ১১ কিলোমিটার এলাকার খনন কাজ চলমান রয়েছে। ৪১ কোটি টাকা ব্যায়ে চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ খনন কার্যক্রম চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন