গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা
স্বাস্থ্য কেন্দ্র নদী ভাঙনের সম্মুখীন হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবারের শিশু ও মাতৃসেবাসহ স্বাস্থ্য সেবা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০১০ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফজলুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার সেবা কেন্দ্র ভাঙনের কবলে পড়ে। ফলে গত ১৪ এপ্রিল মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ২শ’ টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয়। এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে নিলাম গ্রহণকারী ঠিকাদাররা। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানটি বিলীন হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়েছে চরাঞ্চলবাসী। উল্লেখ্য, চরাঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উত্তর খাটিয়ামারীতে ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ফজলুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নির্মাণকালীন সময়ে নদী অনেক দূরে ছিল। একমাত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার পর স্থানীয় জনগোষ্ঠির প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা পূরণ করে আসছিল। পরে ভাঙন কবলিত হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিলামে বিক্রয় করা হয়। এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে নিলাম গ্রহণকারি ঠিকাদাররা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ভেঙে নিয়ে যাওয়ায় ফজলুপুরের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আর থাকলো না। স্বাস্থ্য সেবা পেতে হলে তাদের নৌপথে ২ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে বালাসীঘাট হয়ে তারপর গাইবান্ধা অথবা রংপুরে যেতে হবে। ফজলুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জালাল জানান, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে মাত্র কয়েকদিনেই শতাধিক ঘরবাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ায় ফজলুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার সেবা কেন্দ্র নিলামে বিক্রয় করায় স্বাস্থ্য সেবা অবশ্যই হুমকির মূখে পড়েছে। তারপরেও যেন স্বাস্থ্য সেবা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন