ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
বৈশাখের পড়ন্তবেলায় প্রচ- ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শেষ মুহূর্তের ইরি-বোরো ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় থাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষককুল। তীব্র শ্রমিক সংকট ও বাজারে কৃষকের বোরো ধানের দরপতনের কারণে যখন কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে মড়ার উপর পড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত ২দিন ধরে থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টির কারণে কৃষকের মাঠের পাকা বোরো ক্ষেতের প্রায় ৭০ ভাগ ধান মাটিতে পড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টানা শিলা-বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো ক্ষেতসহ আম ও লিচুর বাগানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে পাকা বোরো ধান একেবারেই ঝরে গেছে। বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক জানান, মাঠে এখনও বি-আর-১৬, ব্রি-২৯ জাতের ৫০ ভাগ পাকাধান রয়েছে। কিন্তু সেই ধান কাটার প্রস্তুতির মুহূর্তে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে তার পাকা ধান ৬০ ভাগ পড়ে গেছে। একই কথা বলেন ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলী ও কৃষক নবিরুল ইসলাম। সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক সামিউল ইসলাম ও বড়নগর গ্রামের আব্দুল খায়ের বলেন, এই এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই শিলাবৃষ্টি হচ্ছে ফলে তাদের লিচু বাগানের লিচুগুলো পরিপক্ব হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে। উপজেলার দৌলতপুর ও বেতদিঘী ইউনিয়নের মাঠে দাড়িয়ে থাকা বোরো ধানগুলো শিলাবৃষ্টির আঘাতে একেবারে মাটিতে নুয়ে গেছে। গাছে থাকা ধানগুলোও মাটিতে ঝরে পড়ে গেছে। এতে বোরো চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হামিম আশরাফ জানান, হঠাৎ শিলাবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিনি মাঠ পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর। শিলাবৃষ্টির আঘাতে আম ও লিচু ফেটে গেছে। অনেক আম ও লিচু মাটিতে ঝরে পড়েছে। ফলে বোরো চাষীদের পাশাপাশি আম ও লিচু চাষীদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক সামিউল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তার লিচু বাগানের লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন