নাটোর জেলা সংবাদদাতা
নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নে নিতাইনগর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে চার গরু চুরি হলে গ্রামবাসী নিজেরাই অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে একই ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হাসু মোল্লার বাড়ি থেকে চার গরুসহ চুরিকৃত মোট ৬টি গরু উদ্ধার করে। খবর পেয়ে বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে থেকে পুলিশ এসে হাসু মোল্লা (৩৫)-কে আটক করলেও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ৩ সহস্রাধিক উত্তেজিত জনতা চোরকে তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবিতে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং চোরের বাড়িতে ভাঙচুর করে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড়াইগ্রামের ইউএনও মো. রুহুল আমিন ও থানার ওসি (তদন্ত) এমরান হোসেনসহ তিন ভ্যান পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একবছরের কারাদ- দেয়ার পর পুলিশ ভ্যানে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ধৃত চোরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, নগর, গোপালপুর ও চান্দাই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গত ৬ মাসে কমপক্ষে ৩০টি গরু চুরি হয়েছে। গত ২ মাস আগেও কয়েকটি গ্রাম থেকে একরাতে ১০ গরু চুরি হলে গ্রামবাসী অভিযান চালিয়ে কয়েনবাজারের একটি মেহগনি বাগান থেকে তা উদ্ধার করে। তবে তখন চোর শনাক্ত করা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে অনেক বৃষ্টি হলে এই সুযোগে নিতাইনগর ও কয়েন গ্রাম থেকে চার গরু চুরি হয়। গ্রামবাসী তল্লাশি চালিয়ে হাসুর পাকা গোয়াল ঘর থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে এবং এ সময় আরও দুইটি চুরিকৃত গরু গ্রামবাসী ও গরুর মালিক শনাক্ত করে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাসুর গোয়ালঘর ও থাকার ঘর সবই পাকা। গোয়ালঘরের গরুগুলো বাইরে থেকে দেখার উপায় নেই। এলাকাবাসীর ধারণা, তার প্রধান পেশাই হচ্ছে গরু চুরি এবং সে সংঘবদ্ধ গরু চোরের দলের প্রধান। মাসে ২/৩ বার একরাতে বিভিন্ন বাড়িতে গরুচুরি করে তা এই গোয়ালঘরে রাখে এবং সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে নছিমনযোগে অন্য কোন জেলায় নিয়ে বিক্রি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন