শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জীর্ণ ঘরে প্রতিবন্ধী স্কুল চলছে খুঁড়িয়ে

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

ওদের কারো বয়স ৮ কারো ১০ আবার কারো ১৬/১৭, এমনকি কেউ আরো বেশি বয়সের। কেউ বাক, কেউ দৃষ্টি, কেউ শারীরিক আবার কেউ বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। সবাই একসাথে বসে শৃঙ্খলভাবে পড়ালেখা শিখছে। ওরা সবাই দুঃস্থ ও গরীব পরিবারের প্রতিবন্ধি সন্তান। এটি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা প্রতিবন্ধি স্কুলের কথা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ও গোমস্তাপুর উপজেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে হোগলা নামক এক নিভৃত গ্রামে প্রতিবন্ধিদের স্কুল। স্কুল বলতে একটি টিনের ছাউনি। চার দিকে বাঁশের বেড়া তাও ভেঙে উদাম হয়ে গেছে বেশিরভাগ। একটি টেবিল ও কয়েকটি চেয়ার। চট বিছানো মেঝেতে বসে ১৭/১৮জন ছেলে মেয়ে শিক্ষকের কথা শুনছে মনোযোগ দিয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুনের সাথে আলাপ করে জানা গেল স্কুলটি ২০১২ সালে হোগলা প্রতিবন্ধি সংস্থার উদ্যোগে চালু হয়। শিক্ষক পাঁচজন। তারা বিনা পারিশ্রমিকে প্রতিবন্ধি শিশুদের শিক্ষাদান করে আসছেন। মাঝে মাঝে স্থানীয় ব্যক্তিদের যে দান সহায়তা পাওয়া যায়  তা চক, ডাস্টার, স্লেট, পেন্সিল সহ শিক্ষা উপকরণ কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোন সাহায্য বা অনুদান পাওয়া যায়নি। একদিন হয়ত সরকারি বেসরকারি ও কোন দাতা ব্যক্তি বা সংস্থার সুনজরে আসবে তাদের এই মহতি কার্যক্রম এবং স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হবে, সে আশায় স্বপ্ন দেখছেন তারা। শিশুরা বসবে বেঞ্চে, স্কুলের পাকা ঘর হবে, পর্যাপ্ত আসবাব ও শিক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো হবে। সমাজের বিত্তবান দানশীল মানুষ এবং সরকারি বেসরকারি দাতা সংস্থার সহযোগিতা পেলে গোমস্তাপুর উপজেলার একমাত্র এ প্রতিবন্ধি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হবে। আলো ছড়াবে প্রতিবন্ধি শিশুদের মাঝে, হাসি ফুটাবে প্রতিবন্ধি শিশুর পিতামাতার মুখে এমনি প্রত্যাশা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যন্য শিক্ষকবৃন্দের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন