চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সরকারী নীতিমালাকে উপেক্ষা করে উপজেলার ইসলামপুর, রাজানগর ও দক্ষিণ রাজানগর এলাকায় গড়ে উঠা অসংখ্য ইটভাটাতে পরিবেশ দূষণ করে দেদারচ্ছে জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ফসলি জমি ও পাাহাড়ের মাটি দিয়ে পুরাতন পদ্ধতিতে কোটি কোটি ইট তৈরী করা হচ্ছে। এসব ইটভাটাতে শিশু-কিশোরদের দিয়ে প্রাপ্ত ভয়স্কদের কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা শিশু শ্রমের আওতায় পড়ে না বলে স্থানীয় একজন মানবাধিকার নেতা বলেন।
জানা গেছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও লোকালয়ের বাইরে ইটভাটার স্থাপনের নিয়ম থাকলেও তা অধিকাংশ ভাটার মালিক এই আইনকে না মেনে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখানো হচ্ছে।
কালো-ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। লোকালয়ে শতশত গ্রামের লাখ লাখ জনসাধারণ স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। ইসলামপুরের একজন স্থানীয় অধ্যাপক বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়ন থেকে অপরিপক্ষ কচি গাছ কর্তন করে দৈনিক শত শত জিপ গাড়ি (চাঁদের গাড়ী ) যোগে লাখ লাখ মণ কাঠ ব্রিকফিল্ডে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। আর ভাটাগুলোতে দিনরাত চলছে সমানতালে কাঠ পোড়ানো উৎসব। কাঠ পাচাররোধে স্থানীয় বনবিভাগের দৃশ্যমান কোন তৎপরতা নেই বললে চলে। সরকারী নির্দেশনার আলোকে পরিবেশ মন্ত্রানালয় ও উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে ইটভাটাগুলোতে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে সতর্ক করা হলেও অনেক ইট ভাটায় আইনকে বৃদ্ধা আঙুল প্রদর্শন করে নীতিমালা ভঙ্গ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মাসুদুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালত সনাতনী নিয়মে এসব ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা অব্যাহত আছেন। এসব ইটভাটার ব্যাপারে স্থানীয় একজন পরিবেশবাদী বলেন, বৈধ ইটভাটার আড়ালে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে যা গ্রামবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হ”্ছে এবং পাশাপাশি ফসলি জমিতে ফলন ও অসংখ্য ক্ষেত বিনষ্ট হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা পরিবেশ কর্মকর্তারা বৈধথাকা ব্রিকফিল্ডগুলিতে যেমন অনিয়ম দেখলে জরিমানা করা হয় তেমনি অবৈধ থাকা ব্রিকফিল্ড গুলিতে বৈধগুলির মতো তৎসামন্য জরিমানা করা হয়। এই জরিমানার আদায়ের পর থেকে অবৈধ কাজের গতি আরো বৃদ্ধি পায়। ইসলামপুরের জৈনিক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, যে সব অবৈধ ব্রিকফিল্ড রয়েছে জরিমানা পরিবর্তে তা যদি বন্ধ করেদেন অন্যরা আইনের নিয়মে চলত। অনেকে আবার একটার বিপরিতে একই নামে দুইতিনটা ব্রিবফিল্ট চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ডাবল চালানোর কাজ হচ্ছে সরকারকে সুল্ক ফাকি দেয়া। জৈনিক এক জীপ গাড়ি ড্রাইবার জানান, রাঙ্গুনিয়ার তৃণমুলে থাকা বন বিভাগের অংশদারিত্ব বিভিন্ন সরকারী বাগান থেকে বন দস্যুরা কচিগাছ কর্তন করে বিভিন্ন হাত বদলের মাধ্যমে ইটের বাটাতে সরবাহ দিচ্ছে। এসব গাছ সরবরাহ করার জ্বালানী কাঠের রাণী হাটে একটি সমিতি রয়েছে, তার পরামর্শে ঘাটে ঘাটে পুলিশ, বনবিভাগ ও স্থানীয় বিপদগামী যুবকদের চাঁদা দিয়ে আসছে। একজন জ্বালানী কাঠ সরবরাহকারী দু:খ করে বলেন, কষ্ঠ করে জ্বালানী কাঠ সরবরাহ করে আসলেও চাঁদা দিতে দিতে যে লাউ সেকদু। আর বাটার মালিকরাও টাকা দিতে গড়ি মাসি করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান বলেন, জ্বালানি কাঠ পুরানো ও পরিবেশ দুশনের অবৈধভাবে গড়েউঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন