পাবনার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়ে মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট আবেদন করেছেন, সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান। তিনি এই হত্যাকান্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াতে দোষারোপ করে বলেছেন, হত্যাকান্ডটি ধামাচাপা দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ফলে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হচ্ছে।
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর আবেদন সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ভাড়ারা গ্রামে বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মহসিন খান লষ্কর ও আব্দুল মালেক নিহত হন। এ ঘটনার পর ৫১ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়। মামলার বাদী মোঃ সুলতান মাহমুদ খান ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানকে প্রধান আসামী করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেন।
এরই এক পর্যায় ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রধান আসামী আবু সাঈদ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের স্বপক্ষে তিনি একটি ভিডিও ফুটেজ পেশ করেন। আবু সাঈদ খান দাবী করেন, ঘটনার সময় ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কি:মি: দূরে পাবনা শহরে ইসলামী ব্যাংকে অবস্থান করছিলেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থল পাবনা শহর থেকে ১৫ কি.মি. দুর্গম স্থানে। এছাড়া তিনি পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া মহল্লায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি আরো দাবি করেন এ জঘন্য হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেয়া এবং ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য বিএনপি- জামায়াতের নেতা কর্মীরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য বাংলাদেশের মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবরে সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত : মহসিন খান লষ্কর ও আব্দুল মালেক নিহত হওয়ার পর তাঁর আত্মীয়-পরিজন ও এলাকার লোকজন শহরে লাশ নিয়ে একটি মিছিল করেন। এ সময় শোনা যায়, নিহতরা জাসদ থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে। তাঁরা আওয়ামীলীগের কেউ নন। এই হত্যাকান্ডে ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে প্রধান আসামী করে ৫১ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন