শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চাষিদের আগ্রহ কালোজিরা চাষে

রাজবাড়ি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা তাদের জমিতে কালো জিরা ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠছে।
কালো জিরা আমাদের দেশের একটি পরিচিত ফসল। এর ব্যাবহার ও অনেক বেশী কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় এই ফসলের চাষ কম হত। কালিয়া জিরা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে কম-বেশী চাষ হয়ে থাকে। কালো জিরার নানা বিবিধ ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রধানত কালো জিরা মসলা হিসেবে ব্যাবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়াও কালো জিরা থেকে তৈল হয়। এই তেল রান্নার কাজে ব্যাবহার করা যায়।
এছাড়াও কালো জিরার অনেক ভেষজ গুণ আছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় আগে কালো জিরার চাষ করতো প্রান্তিক কৃষকেরা, কিন্তু মাঝে বেশ কয়েক বছর চাষ কম হলেও এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রান্তিক কৃষকেরা কালো জিরা আবাদে আগ্রহী হয়ে তাদের জমিতে এই ফসল চাষ করছে। জঙ্গল ইউনিয়নের কৃষক হরিষ জানান, আমাদের ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকেরা কালো জিরা চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে তাদের জমিতে কালো জিরা চাষ করছে। আমি এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে কালো জিরা চাষ করেছি। কালো জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত জমিতে ভালোভাবে চাষ দিয়ে তার পরে সেই জমিতে কালো জিরার বেছন বুনতে হয়, এরপরে কালো জিরার গাছ গজালে পরিচর্যা করতে হয়। জমি শুস্ক হলে হালকা সেজের ব্যাবস্থা করতে হয়। কালো জিরা গাছ গুলো ধীরে-ধীরে বড় হয়ে ফল আসা শুরু করে এর পরে পড়াগায়নের মাধ্যমে ফুল থেকে কালো জিরার ফল ধরা শুরু হয়, ফল পাকলে চাষীরা গাছগুলো ক্ষেত থেকে উঠিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে দেয়। এরপর মাড়াই বা মলনের মাধ্যমে গাছগুলো থেকে ফল আলাদা করা হয়।
উপজেলার নবাবপুুর ইউনিয়নের মো. বাবুুল আক্তার জানান, আমি আমাার জমিতে ৪০ শতাংশ রসুন ক্ষেতের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালো জিরা ফসল বুনেছিলাম রসুনের পাশাপাশি কালো জিরার গাছগুলো বেশ বড় হয়ে ফুল ধরতে শুরু করেছে। আশা করছি আমি এই ফসলে লাভবান হতে পারবো।
কৃষক মমিন মেল্লা জানান, বাড়ির পাশে ৫ শতাংশ জমিতে কালো জিরা ফসলের চাষ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে। এই জমিতে যে পরিমান কালো জিরা পাবো, তাতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটবে। কালো জিরা তরকারিতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তরকারি বেশ মজাদায়ক হয়।
বিশেষ করে ডালে কালো জিরার ব্যাবহার বেশী হয়। এছাড়াও কালিয়া জিরা রসুন-পেয়াজের সাথে বেটে ভর্ত্তা করে খাওয়া যায়। কালো জিরা ও মধু মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা জনিত রোগর জন্য বেশ উপকারী। কেউ-কেউ কালো জিরার তেল রশুন মিশিয়ে গরম করে ব্যাথা নাশক ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার করে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাখায়াত হোসেন জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অনেক কৃষকই কালো জিরার চাষ করেছে। এ বছর উপজেলার ৭৫ হেক্টর জমিতে কালো জিরা চাষ করেছে কৃষকেরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন