রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
রাউজানে পুত্রবধূকে নির্যাতন ও পরকীয়া প্রেমে আসক্ত নিজ ছেলের বিরুদ্ধে পিতা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার এক দিনপর বাপের বাড়িতে নির্যাতিত ওই পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ছামিদর কোয়াং গ্রামের আজিম ফকিরের বাড়ির ওমান প্রবাসী বাদশা মিয়ার ২য় ছেলে মোহাম্মদ নাছির (২৭)-এর সাথে গত দুই বছর পূর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় কাপ্তাই রাস্তার মাথার ধুপপুল গোলাপের দোকান নুর মোহাম্মদ সওদাগরের বাড়ির মনসুর আলমের কন্যা এ্যানি আক্তারের। বিয়ের পর থেকে স্বামী নাছির নববধূ এ্যানি আক্তার (১৮)-কে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ তাদের দুই বছরের ঘর সংসারে প্রায় সময় নাছির বাইরে রাত যাপন করে স্ত্রী এ্যানিকে মানসিক যন্ত্রণা দিত। কারণ হিসেবে স্থানীয় লোকজন বলেছেন, নাছির বিয়ের আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী এক প্রতিবেশি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পকে আসক্ত ছিল। আর বাবা মা বিষয়টি জেনে নাছিরকে ঘরমুখো করতে নাছিরকে বিয়ে করান। এদিকে গত দুই মাস আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী এ্যানি বাপের বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রীর প্রতি অবহেলার প্রতিকার করতে গেলে নিজ মাতা-পিতা ও ভাইয়ের ওপরও নাছির ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ঘর থেকে বের করে দিবে বলেও হুমকি দেয়। এতে অসহ্য হয়ে হয়ে গত ৯ মে পার্শ্ববর্তী প্রবাসীর স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ১নং আসামি ও নাছিরকে ২নং আসামি করে নিজ ছেলে নাছিরের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন পিতা-মাতাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে মাতলামিসহ নানা অভিযোগ এনে রাউজান থানায় বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নাছিরের পিতা বাদশা মিয়া। এদিকে এ অভিযোগ দায়েরের পরদিন গত ১০ মে সকালে নাছিরের স্ত্রী এ্যানি আক্তার বাপের বাড়ি কাপ্তাই রাস্তার মাথা ধুপপুল গোলাপের দোকানের বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মারা যায়। নিহত এ্যানির পিতা মনসুর আলী বলেন, আমার মেয়েকে নাছির বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। অনেকবার সালিশ বৈঠক করে সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। এক পার্যায়ে আমরা মেয়েকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসি। গত ১০ মে সকালে আমি ও আমার স্ত্রী বেড়াতে গেলে নাছির আমাদের বাসায় এসে মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে চাঁন্দগাও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন