সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সেমিনারি চাইলে ফাতিয়া মসজিদ খুলে দিন: গ্রিসকে এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫৩ পিএম

ইস্তাম্বুলে খ্রিস্টান যাজকদের জন্য সেমিনারি (শিক্ষাশ্রম) করতে দেয়ার অনুমতির বিনিময়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ঐতিহাসিক ফাতিয়া মসজিদ খুলে দেয়ার শর্ত দিয়েছে তুরস্ক।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসকে এ শর্ত দেন। খবর এএফপির।

চলতি মাসে তুরস্কে সফরে গিয়েছিলেন গ্রিস প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস। এ সময় তিনি বিতর্কিত হাজিয়া সোফিয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্রিক অর্থোডক্স হালকি শিক্ষাশ্রম পরিদর্শন করেন।

ইস্তাম্বুলের হেইবেলি দ্বীপে শিক্ষাশ্রমটি অবস্থিত। সিপরাস বলেন, আগামীতে এরদোগানের সঙ্গে তিনি এটি ফের চালু করবেন।

সাইপ্রাস নিয়ে আঙ্কারা ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনার সময় ১৯৭১ সালে শিক্ষাশ্রমটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

অভিযোগ করে এরদোগান বলেন, গ্রিসকে পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও এথেন্সের ফাতিয়া মসজিদের মিনার এখনও উন্মোচন করা হয়নি।

আগামী ৩১ মার্চ তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে এডিরন প্রদেশে এক সমাবেশে শনিবার তিনি এসব কথা বলেন।

উসমানীয় খেলাফতের সময় ১৪৫৮ সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ১৮২১ সালের পর সেটি আর ব্যবহার করা হচ্ছে না।

সিপরাসকে এরদোগান বলেন, দেখুন- আপনি যদি আমাদের কাছ থেকে কিছু চান, আপনি যদি হালকি শিক্ষাশ্রম চান, তবে আমি আপনাকে (গ্রিস) বলব, ফাতিয়া মসজিদ খুলে দিন।

‘তারা বলেছেন, আমরা মসজিদটি খুলে দিতে যাচ্ছি। কিন্তু আমি বলেছি- তা হলে মসজিদটিতে মিনার থাকবে না কেন? বেল টাওয়ার ছাড়া কী গির্জা হতে পারে?’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বলেছি- আপনারা কি একটি বেল টাওয়ার নির্মাণ করতে চান। তা হলে আসুন নির্মাণ করুন। কিন্তু আমাদের মসজিদের অপরিহার্য অংশ কি? মিনার।

‘তখন সিপরাস আমাকে বললেন, এ নিয়ে তিনি গ্রিসের বিরোধীদলীয় সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার আতঙ্কে আছেন,’ বললেন এরদোগান।

১৮২১ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লড়াই শুরু হওয়ার পর মসজিদের মিনারটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ মিনারটিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে ১৯৪৩ সালে শিক্ষাশ্রমটির কাছ থেকে নিয়ে নেয়া জমি ফেরত দেয় আঙ্কারা। তবে এটি খুলে দেয়ার জন্য তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।

এর আগে এরদোগান দাবি করেছিলেন, গ্রিসে তুর্কি সংখ্যালঘুদের অধিকার বৃদ্ধি করার ওপর নির্ভর করছে এটি খুলে দেয়া হবে কিনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন