শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিজ্ঞাপনে ‘পদ্মা সেতু’ নয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৫৮ পিএম

যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প, নির্মাণাধীন পদ্মাসেতুর কোন ছবি বা ডিজাইন কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না। সম্প্রতি সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেতু বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে পদ্মসেতুর ডিজাইন ব্যবহারের উপর আলোকপাত শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়।

দেশের বৃহত্তম এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন সিমেন্ট ও রড কোম্পানি নিজেদের পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে দাবি করে নিয়ন সাইন, ইলেক্ট্রনিক হোর্ডিংসহ বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এ ধরনের প্রচারে সাধারন ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব বিবেচনা করে কোন বিজ্ঞাপনে পদ্মাসেতুর নাম বা ডিজাইন ব্যবহার করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে অবহিত করা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিজ্ঞাপনে পদ্মাসেতুর ডিজাইন ব্যবহার করছে এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সেগুলো প্রচার করছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার পাশাপাশি এধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা এবং সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পদ্মাসেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কাজেই এ প্রকল্পের ডিজাইন বা নাম কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার অনাকাঙ্খিত। এ অবস্থায় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মাসেতুর ডিজাইন পেটেন্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সেতু বিভাগ কাজ করছে।

বৈঠকে মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার উপর জোর দেওয়া হয়। এ সময় পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। বলা হয়, মাওয়া সংযোগ সড়ক এবং সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতু ও নদী শাসনের কাজে ভৌত অগ্রগতি যথাক্রমে ৭৩ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রকল্পের পরিবেশ ও পুনর্বাসনের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। এডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে পিপিপি’র আওতায় সাপোর্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, প্রকল্পের মূল এলাইনমেন্ট বরাবর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো ৪ একর জমির বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত ভূমির ভিডিও ধারণ করেছে। খুব শিগগির যৌথ জরিপের কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এনজিও’র মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বিতরন চলমান রয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি অপসারণ ও স্থানান্তরের কাজ চলছে বলে বৈঠকে অবহিত করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন