আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী সনেট হালদারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রামপাল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মইনউদ্দিন আখতারকে হত্যার ১০ মিনিট আগে সনেট হালদারকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের এ হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গত রোবাবার দুপুরে মংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সনেট হালদার।
ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত পরিচয়ে একব্যক্তি ০১৯১৮ ৯১৬৫৬৫ নম্বর থেকে ফোন করে গালিগালাজসহ জীবননাশের হুমকি দেয়। সনেট হালদার মংলা পৌর শহরের শেহলাবুনিয়ার বটতলা গ্রামের আন্তনী রমেশ হালদারের ছেলে।
এদিকে ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে হুমকিদাতাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। মংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মন্ডল বলেন, হুমকিদাতা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পীর আলী শেখের ছেলে লাবু শেখ। তাকে আটকে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
মংলায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলা
মংলার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মংলা থানার এসআই মো: আকরাম হোসেন জানান, বাগেরহাট জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের হাবিব ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানকারীরা একটি পিস্তল, দেড়শ গ্রাম গাঁজা ও ২৫ পিচ ইয়াবাসহ ৫ জনকে আটক করে। আটককৃতদের ওই রাতেই জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি’র এসআই গাজী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় মাংল থানায় পৃথক এ মামলা দুইটি দায়ের করেছেন।
অস্ত্র মামলায় আসামী করা হয়েছে মংলার হাবিব ইন্টারন্যাশনাল হোটেলর মালিক হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭) ও খুলনার রুপসা উপজেলার রামনগর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে নোমান আহমেদ জনিকে (২৯)।
এছাড়া অপর মাদক মামলায় আসামীরা হলেন সাদ্দাম, তারিকুল ইসলাম, জনি, জিল্লুর রহমান ও অনিক সিংহ। সাদ্দাম ও জনিকে অস্ত্র এবং মাদক দুই মামলাতেই আসামী করা হয়েছে। দুই মামলায়ই আসামী জনি ছাড়া বাকি সকলের বাড়ি মংলায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন