বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সোনালী দল ছাড়াই হচ্ছে বাকৃবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন

রাকিবুল হাসান, বাকৃবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৩৭ পিএম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৯ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে সোনালী দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি কোন লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’ । এতে সকল দলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য নির্বাচন স্থগিত করে শিক্ষক সমিতি।

এদিকে নতুন করে শিক্ষক সমিতির তারিখ ঘোষণা করা হলেও সোনালী দল কোন প্যানেল ঘোষণা করেনি। অপরদিকে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এবং নীল দল নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ১৫ সদস্য এবং নীল দল ৩ সদস্যের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের মনোনীত ৭ জন সদস্য।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, সোনালী দল নির্বাচনে আসার কোন আগ্রহ দেখায় নি। টেলিফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নির্বাচনে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়। নির্বাচনে না আসার কারণ হিসেবে তিনি সোনালী দলের সাংগঠনিক দূর্বলতাও একটি কারণ বলে উল্লেখ করেন।

সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের বলেন, আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম মনোনীত প্যানেল বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ার পায়তারা করছিল। পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে প্যানেল ঘোষণা করতে না পেরে নির্বাচন স্থগিত করে। যদি তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই করতো তাহলে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা আমাদের নিয়ে আলোচনা করতো। কিন্তু কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করার পর ফোন করে আমাদের জানায়।

নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাকৃবিতে নীল দলই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সত্যিকারের সংগঠন। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থী, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এখন সম্পূর্ণ ভাবে কমিউনিস্টদের দখলে চলে গেছে। এবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতেই এই আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন