যেসব লাশ স্বজনরা সহজেই শনাক্ত করতে পারছেন সেগুলো আজই যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু যেসব লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে শনাক্তের চেষ্টা করা হবে। যদি সেটিতে শনাক্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের লাশও স্বজনরা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে যেসব লাশ একেবারেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না, সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর দেয়া হবে। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সোহেল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট) ৩৭ জনকে সনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ২১ জনকে ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মো. ইমরুল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে ৬৭টি লাশ এসেছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ২১ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনরা ভিড় করেছেন সেখানে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ লাশ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এসব লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্তের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, লাশগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে কঙ্কালের মতো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। পুড়ে যাওয়া অনেক মরদেহের চেহারাও চেনা যায় না। আর কেমিক্যালের মতো দাহ্য পদার্থে পুড়ে গেলে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যায়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারে চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশের একটি ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আশপাশের আরও কয়েকটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৭০টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন