চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতদের মধ্যে ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ লাশ হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হস্তান্তর করা ২২ জন হলেন— হাবিবুর রহমান (২৩), রবিউল ইসলাম (১৯), মমিনুল হক (২৪), মহি উদ্দিন (২২), তোফায়েল ইসলাম (২২), আফজাল হোসেন, মো. সুমন (২৮), ইব্রাহিম হোসেন (২৭), ফারুক জমাদ্দার (৫০), মো. হারুন (৫৫), মো. নয়ন (২২), শাহাদাত হোসেন (২৯), শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার, মো, রিদুয়ান (২৫), রানা মিয়া, তহিদুল হাসান, নাজিমউদ্দিন রুবেল, নিপন চাকমা, মিঠু দেওয়ান, আলা উদ্দিন (৩৫), শাকিল তরফদার ও মো. মনিরুজ্জামান (২২)। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণ ও আগুনে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জনের লাশ চমেক হাসপাতালে আছে। বাকি আট জনের লাশ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকতে পারে। ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সকাল থেকে সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
নমুনা সংগ্রহে নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, যেসব স্বজন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আছে দাবি করছেন, তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যেকোনও দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোর নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন